আহা! একি কলি-কাল
ইন্দুরে খায় হুলো-বিড়াল
বুনো-ভল্লুকের ভেল্কি তাল
ছাগলে চাটে বাঘের গাল
শিকারী কুকুর ভয়ে বেতাল
যেই না দেখে খেঁকশিয়াল
আহা! একি কলি-কাল।


সিংহের মুখে ধুবলো ঘাস
ব্যাঙে খায় পাতিহাঁস
হরিণে করে মহিষ গ্রাস
বানর হুঙ্কারে উঠছে ত্রাস;
বেভুল-বেতাল সকাল বিকাল
সঠিক তালের বড্ড আকাল
আহা! একি কলি-কাল।


আহা! একি কলি-কাল
ফড়িং যখন সাপ গিলে খায়
রাজকোষের চিচিংফাঁক
জলের মাঝে ননীর গোলক
বাদ্য বাজে তা-ধিন-তাক
বনবিড়ালের সুর-লহরী ভীষণ তাল
আহা! একি কলি-কাল।


হাতি ঘোড়া ফোরাস গায়
কাছিম দৌড়ায় লম্বা পায়
গরুর বুদ্ধি ছলা-কলায়
শিয়াল-খরগোস খাবি খায়
ঘুরছে সবাই গোলকধাঁধায়
না পায় হালে কোনই পাল
আহা! একি কলি-কাল।


মাটির উপর মাছের বাস
কুমির করে আলুর চাষ
গগন তলে জলোচ্ছ্বাস
সাগর তলে নীল আকাশ
গাধায় করে বুদ্ধি ফাঁস;
বুদ্ধি-ঢেউয়ে উথাল-পাথাল
আহা! একি কলি-কাল।


আহা! একি কলি-কাল
বাড়ির উঠোন বহুৎ দূর
পুঁটি মাছের সমুদ্দুর
কাকের কণ্ঠে কোকিল সুর
স্বপ্নে দেখা সবকিছুর
কেমন যেন তাল-বেতাল
আহা! একি কলি-কাল।


ফিরোজ, নয়াপল্টন, ২৪/০৩/২০১৬