হে ভৈরব!
হে মোর প্রাণ সিন্ধু-গৌরব
অপরূপ রূপালি ঢেউয়ের ঝিলিক
ঢেউ কল্লোলিত সুর
পাল তোলা নাও, ভাটিয়ালী গান
বরষায় ভরভর দুকূলে প্লাবন
সবুজের আবিরে দু-পাড়ের অপরূপ সাজ৷


প্রিয় ভৈরব নদ!
কৈশোর কালবেলা স্মৃতি
গ্রীষ্মের তাপদাহ, সুনিবিড় ছায়াঘেরা দু-তীর
জলভরা বুক, দুরন্ত ছেলে মেয়ের
অবিরাম ঝাঁপাঝাঁপি উচ্ছলতা
চৈত্রের মোহনীয় বিকেল
জোয়ারে কলকল মুখরতা, সুশীতল হাওয়া
শীতের গুটিসুটি দুপুর
শীত-কাটা জলে ঝাপ, টুপ করে উঠে পড়া
এক ডুবেই নাওয়া শেষ৷


আমার আবেগী ভৈরব!
অন্তরের অনুরাগ
কিনারে সারিসারি সুঙরাল শাখে
বাহারি হলুদ ফুলের সভা
লাল রঙে কৃষ্ণচূড়া অনুপম মনোহর
ঢেউয়ে ঢেউয়ে শুশুকের খেলা
জেলেদের জালে হরেক রকমারি মাছ
দু-ধারের পতিত চর, সাদা কাশফুলের মেলা
কৃষকের সবজি ভরা নাও
ভোর বিহানে ব্যস্ত গঞ্জের হাট
বুকে তোর বড় বড় নৌকা-জাহাজের ভীড়
পাড়ে মুখ তুলে দাঁড়ানো সারিবদ্ধ পাট-গুদাম
মজুদ করা কাঁচা পাটের পসরা
কর্মে মাতে শ্রমিক ভোর-সারাদিন-সন্ধ্যা৷


হে ভৈরব! প্রিয় ভৈরব
আমার অমলিন স্মৃতি, প্রিয় স্রোতধারা
গভীর চেতনের অবাক করা প্রশান্তি৷


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ১১/০৫/২০১৬