ডাকে নয়নে নিয়ে নোনাজল
পথপাশের প্রবুদ্ধ বটবৃক্ষ
থামো পথিক তব ক্ষণকাল
কালের সাক্ষী, শোন আমার কথা
কেন অশান্ত এই ধরাতল!
মনুষ্যপাপে পূর্ণ হইলে ধরণী
তবে নৈরাজ্যে ডুবিবে অতল।


যেথা রক্ষক হয়ে পড়ে ভোক্তা
শাসন আজ্ঞা না মানিলে রায়ত
অগ্নি দহনে জ্বলিবে যে সেথা
ক্রুদ্ধ ভূপতি, প্রজা হয় লাঞ্ছিত,
নিলে নৃপতি শোষকের বেশ
মজলুম চোখে সকরুণ রোদন
ব্যর্থ জনতা, অধিকার শেষ
উত্তাল ক্ষোভে রহিত শমগুণ।


যদি সংসারে প্রাপ্য মূল্যহীন
গোলমালে হয় শান্তি অন্তরীণ
পুড়ে অনলে সহসা পতন
প্রতিবেশীর হক হইলে হরণ,
করি অরণ্যে যদি শান্তিভঙ্গ
বন্য হারায় বাঁচার অধিকার
তব বিনাশে নগর অনুষঙ্গ
সর্বশক্তিতে রুদ্র, করে সংহার।


সদা তাহারা পরিমিত পথে
এ ছায়াপথ, মহাবিশ্বজগত
পারে না সীমা প্রকৃতি লঙ্ঘিতে
বিন্যস্ত বিশ্ব নিয়মে বিরাজিত।


দাবি খর্ব করিলে নিরন্তর
সে অনুভবে বিক্ষুব্ধ স্বত্বহারা
যায় বাড়িয়া অশান্তি অপার
শক্তি নিযুক্তে দ্বিধাবিহীন তারা,
নিত্য জুলুমে সংঘাত-নৈরাজ্য
দাবিতে হইলে পরস্পরা সংযত
সীমাতিক্রম যেথায় পরিত্যাজ্য
শান্তি-জানালা হয় অবারিত।


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ০৬/০২/২০১৬