অতি ভদ্রসদ্র শহুরে কেতাদুরস্ত
দেহের পরতে পরতে দখলিস্বত্ব নিয়েছে
নগরের চিহ্ন যতো
অথচ আল পথের সবুজ ঢেউ
চঞ্চল, বিহ্বল সুর তোলে অন্তর তারে
পৌষের কাঁচা খেজুর রসের ঘ্রাণে তৃপ্তির ঢেকুর
গ্রীষ্মদাহ, অনাবৃষ্টির ক্লান্তিতে
অন্তরে বিষণ্ণ অনুভবের ছোঁয়া
ঘোরলাগা বরষার সন্ধ্যায় উথলে ওঠে প্রাণ
ভিজে যায় মন
সাদা কাশফুল শরৎ শুভ্রতায়
হেমন্তের সোনালী ধান ডেকে আনে সোনালী স্বপ্ন
মন উচাটন বসন্তের বাহারি রঙের খেলায়
তোমাকে নিমন্ত্রণ
দেখো ! খড়ের আসন পেতেছে ওরা
ওরা ফসলের কারিগর
হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা মেখে গেঁথেছে বরণমালা
এখন যে সময় এসেছে
যেতে হবে শিকড়ের কাছে, শিকড়ের টানে
এ আসন যে তোমারই
তোমার একান্ত নাড়ীর কাছের ।


ফিরোজ, দিলকুশা, ০৭/১২/১৬