(কবিতাটি প্রিয় কবি আলমগীর সরকার লিটনকে উৎসর্গীকৃত)


পঁচিশ মার্চের কালোরাত স্বচক্ষে দেখিনি
নিজ চোখে দেখা হয়নি
হানাদারের নির্মম পীড়নে ঢলে পড়া যুবকের লাশ
কিংবা বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা বুকের রক্তস্রোত
এইতো সেইদিনের কথায়-ইতিহাসে
একাত্তরপূর্ব বঞ্চনা-শোষণ
শুধু কল্পনায় এঁকেছি সেই বীভৎস হিংস্রতা
বীরাঙ্গনা কাব্যে গড়া কদর্যতার চিত্র ।


দুই হাজার আঠারো সাল, কত দিনইবা গত
চোখে পট্টিবাঁধা অধঃপতিত সময়ের দেখা
হাতবাঁধা হেফাজতে নির্যাতিতের ‍মৃত্যু
নিয়নবাতির ফ্যাকাসে আলোতে ক্লিষ্ট হাসি
আতশবাজির হটকারি ঝলকে
নাভিশ্বাস ওঠে হৃৎপিণ্ডে
দেয়ালে দেয়ালে পাহারাদার চোখ
সমান্তরালে অট্টহাসে হিংসা, নির্মমতা, হিংস্রতা
ঘুঙুর পরা পায়ে নৃত্য তোলে গুম, খুন, ক্রসফায়ার
নিত্য তাড়া করে ঘিরে ধরা ভয়
যত্রতত্র আর্থিক দুরাচার আর বৈষম্যের স্ফীত ঢেউ
যেন কল্পনার সেই ছবি জেগে ওঠে বাস্তবে
স্বাধীনতার কান্না শুনি শন শন হাওয়াতে
বিমূর্ত নৈরাজ্যে শরবিদ্ধ হরিণীর যন্ত্রণা ।


কথা ছিল
স্বপ্নের স্বাধীনতায় নিঃসংশয় দিন
প্রত্যাশার হাহাকার ওঠে
তামাশার নাটকের রঙ্গমঞ্চে
স্বস্তিহীন, শান্তিবিহীন ঝলসানো সময়
স্বপ্ন কেবলই স্বপ্ন রয়ে যায় !


বক্ষে দিয়েছো স্বাধীনতার মন্ত্র
পৃষ্ঠদেশেও স্বাধীনতা চাই ... !


ফিরোজ, মগবাজার, ২৬/০৩/২০১৮