স্বপ্নভঙ্গের নীল বেদনার দুঃসহ সব দিনগুলি
কোন খেয়ালে কোন বয়ানে আবার কেনো দেয় হানা?
আমরা ছাড়বো নাকো
এবার তবে শান দেয়া ঐ তীক্ষ্ণ ফলা হাতের কাছে
আমরা নিজেই নিলাম শঠ তাড়ানোর দায়টাকে
সময় থাকতে ফন্দি-ফিকির থামা এবার
নইলে তবে যখন খুশি
ঐ ফলাটা ছুড়বো আমরা তোর পানে ।


আবার যদি কৃষ্ণচূড়ার লাল ছায়াতে লাল সূর্য খেলে
এই আকাশে এই জমিনে ধাতবপোকা
বোমার প্রদীপ জ্বালে
আবার যদি একটা গুলি চলে
আমরা মানবো নাকো
লাল-সবুজের বক্ষে বক্ষে বারুদ জমা
নিজের মতো আমরা তবে বুক পাতলাম
সময় থাকতে অগ্নিনল থামা এবার
নইলে তবে সেই গুলিতে
সকল বারুদ উঠবে জ্বলে, সব পোড়াবে ।


আবার যদি শ্বেতহস্তীর জবর-দখল
মাতৃভূমি দিক হারিয়ে শূল-নিলামে চড়ে
নীলকণ্ঠের নীল বিষেতে কণ্ঠে জ্বালা ধরে
কণ্ঠনালী ধরলে চেপে
আমরা রুখেই দেবো
সব তরুণের বজ্রকঠিন হাতগুলো আজ তিতিয়ে আছে
সময় থাকতে জালগুলোকে গোটা এবার
নইলে তবে সেই আগুনে
দিন বদলে সব কারাগার ভরিয়ে দেবো ।


ফিরোজ, দিলকুশা, ০১/০৩/২০১৮