কথা তুমি বলতে না একদমই- তোমার
নীরবতা আর না বলা কথাই যেন
স-ব বলে দিতো..সহজেই বুঝে নিতাম,
তুমি বলেছ...“ সন্ধ্যে নেমেছে, পড়তে বসো,
অথবা সময় হয়েছে স্কুলে যাও।” ব্যস
তারপর আর কিছুই না....।


কৈশোরিক দুষ্টুমিতে কখনওবা হয়ে গেলে
বেতাল, হুমকি দিয়ে মা বলতেন,
“সামনে পরীক্ষা, এভাবে পড়লে চলবে
কেন?...বলে দেবো তোর বাবাকে--।”
ভয়ে কুঁকড়ে যেতাম! তাৎক্ষণিক
মিতালি গড়ে উঠত বইতে-আমাতে।


অন্যরকম কঠিন কঠোর শাসনে ছিলাম
তোমার ! কিন্তু কী আশ্চর্য ! ঈদ বা
পুজোয় নতুন জামা, চিনির পুতুল
মিষ্টান্ন ঠিকই চলে আসত ঘরে...।
এমনি করেই ফুটে উঠত কঠিন পাথরে
লুকোনো তোমার সমস্ত স্নেহ,মমতা !


আমাদের সময়ে এভাবেই সবার বেড়ে ওঠা,
গড়ে ওঠা। তোমার ওই স্তব্ধতার নীরব শাসন,
নীতি-নৈতিকতা আর সত্য বলবার সৎ
সাহস -সবই দিয়েছে আমায় জীবনের
অমীয় দীক্ষা, যার সবটাই আজও আমার
অনুভূতিকে নাড়া দিয়ে যায়.... !


১৮ জুন,২০১৭, বাবা দিবসে রচিত