সঙ্কটে, বিপ্লবে-বিপর্যয়ে তোমাকেই মনে পড়ে চে...! তুমি
নিপীড়িত জনতার চিরন্তন বিপ্লবী কণ্ঠস্বর। তুমি
দিন শেষে, কিংবা মাসকাবারে ন্যায্য মজুরি না পাওয়া
হাড্ডিসার শ্রমিকের মুষ্ঠিবদ্ধ প্রতিবাদী হুঙ্কার..!
চে,তুমি অত্যাচারী শোষকের বিরুদ্ধে গগণবিদারী এক চিৎকার ।
তুমি নির্যাতিতের চিরসখা, বুভুক্ষু মানুষের অধিকার আদায়ে
প্রতিবাদের শ্রেষ্ঠতম ভাষা। তুমি রুটি-রুজির আন্দোলনে
সংগ্রামে চিরবঞ্চিত শোষিতের অব্যক্ত প্রেরণা...।
চে,ওরা ভেবেছিল তোমার মৃত্যুর মধ্য দিয়েই সমাপ্তি ঘটবে
তোমাকে ঘিরে গড়ে ওঠা হা-ভাতে মানুষের সব রকমের
আবেগ-ভালবাসার...। আদতে কি তা হয়েছে ? বরং
তোমারই জন্যে আজও কাঁদে আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকাসহ
সারা দুনিয়ার লক্ষ-কোটি নির্যাতিত মানুষ--ঠিকানাবিহীন
ফিলিস্তিনী আর নাড়িছেঁড়া রোহিঙ্গার কাফেলা ! বাস্তুচ্যুত এইসব
মানুষের নীরব হাহাকার, বুকফাটা কান্না আজও নিয়ত
প্রতিধ্বনিত হয় আকাশে-বাতাসে... !
তোমার রক্তলোলুপ নির্মম ঘাতক ফেলিক্স রদ্রিগেজরা প্রেতাত্মা হয়ে
এখনও দাপটে রাজ করছে ঘুনে ধরা সমাজের রন্দ্রে-রন্দ্রে হিংস্র
অত্যাচারীর খড়গ হাতে ! তাই,তোমার নৃশংস হত্যার স্মৃতি
হায়েনাদের ঘৃণা করতে শেখায় আজও। উহ্,সে কী যন্ত্রণা,অসহ্য !
হে শ্রদ্ধেয় চে, এখনও যে ভোর হয়নি, কেউ কি আছে তোমার মতো
দু:সাহসী,মানবদরদী বীর ? তাকে আজ বড় বেশি দরকার...!


রচনা : ০৯ অক্টোবর, চে’ ডে