ছোট বেলায় স্যার বা বড়দের কাছে শুনতাম দেশে নাকি কাক আর কবির সংখ্যা অগুণতি...। আবার এমনও শুনেছি, বাঙালি ঘরে জন্ম,কী ছেলে কী মেয়ে, অন্তত বয়েস চৌদ্দ পেরুলে অল্প-বিস্তর কবিতা-ছড়া লেখেনি বা লিখতে চেষ্টা করেনি এমনটা ছিল খুঁজে পাওয়া ভার...। বর্তমানে ফেসবুকের কল্যাণে এই ধরেণের সৌখিন বা মৌসুমি কবির সংখ্যা নাকি আশঙ্কাজনক হারে আরও বেড়ে চলেছে। এতে মনে হচ্ছে, কেউ কেউ উদ্বিগ্ন! আমি মনে করি, এটা বেশ ভাল একটি দিক। এতে সব বয়সী নারী-পুরুষের মনের মধ্যে লুপ্ত সাহিত্য-প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটছে। এভাবে কবিতা চর্চিত হতে হতে একদিন এদের হাত দিয়েই ভাল কিছু সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয়েও যেতে পারে । বহতা সময় দু’একজনকে হয়ত ধরে রাখবে। বাকিরা নিশ্চিত ঝরে পড়বে। যারা ঝরে পড়বার তাদের টেনেও কেউ ধরে রখতে পারবে না। ....আদতে মানুষের মনোজগত এবং সাহিত্যের এই বিশেষ ক্ষেত্রটি তো কারও কেনা বা দখলীয় সম্পত্তি নয় যে সেখানটায় বিনা অনুমতিতে বিচরণ নিষিদ্ধ! আকাশের মত সীমাহীন উদার এই সাহিত্য-মাঠে যে কেউ অবাধে চরে বেড়াতে পারে। এতে কারও বাদ সাধা উচিত নয় একবারেই। তাই সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, দেশে কবির সংখ্যা বাড়ছে তো ক্ষতি কী! বরং এটা নি:সন্দেহে খুশির খবর ! ... যাঁরা আমাদের দেশে কবি হিসেবে স্বীকৃত, শ্রদ্ধাভাজন ও সর্বজন পরিচিত তাদের তো, আমি মনে করি, এ বিষয়ে আরও বেশি আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু,বোধ করি তেমনটি না হয়ে হচ্ছে উল্টোটা...। তাই এই অভাজনের প্রত্যাশা,বিশিষ্ট কবিজনেরা আলোচ্য ‘হবু কবিদের’ লেখায় যেসব ছন্দপতন ঘটে নিতান্ত অল্প করে হলেও তা সংশোধন করে দেবেন। এতে উপকৃত হবে সেই ব্যক্তি নন,বাংলা সাহিত্য...। ভুলটুকু মার্জনীয়।... শুভ কামনা।