হীনমন্যতা-একাকীত্ব-অপরাধবোধ
কিংবা, পুরনো গুপ্তরোগে আক্রান্ত ভুক্তভোগী'র দমবন্ধ ঘরে প্রসব করা নতুন কোনো শব্দ
ভিন্ন পথে শব্দগুলোর গন্তব্য- মৃত্যু।


পৃথিবী জুড়ে রাজত্ব চলছে ধ্বংসদেবতার
উইলিয়াম, শায়'অন স্যু, সিয়া ডেল, অভিজিৎ, শাহ্‌ নেওয়াজ
প্রাণভিক্ষায় প্রত্যেকেই ব্যর্থ।
স্বেচ্ছামৃত্যুপ্রিয় সংগ্রামী'র কাটা শিরা থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসে শ্বেত রক্ত
কসাইখানার ফটকে গোশতলোভী কুকুরটির গলা চেপে ধরে সর্বশেষ আর্তনাদ।


একটি শালিক জমে বরফ হয়েছে মেরু'তে;
আরেকটি শালিক উত্তাপে ঝলসে গেছে মরু'তে
অথচ, তাদের একসাথে দেখে কোনো একসময় স্মৃতিচারণ করতো পাগলাটে এক যুবক।
মন্দিরে ঘন্টাগুলো বেজে চলেছে নিজ দায়িত্বে;
মসজিদের মুয়াজ্জিন মারা গেছেন ধ্বংসলীলার কবলে
তারপরও,
দিব্যি আযান ধ্বনিত হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার নিদর্শন বাঁচাতে।


পানশালায় ফুরিয়ে গিয়েছে মদের শেষ বিন্দু; নেই কোনো জুয়ারি
সর্বশেষ কবি শব্দের খোঁজে চষে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অপরপ্রান্ত
তবুও মিলছে না আর;
অচিরেই স্তনের আড়ালে ক্যান্সার লুকিয়ে রাখা
কিশোরী প্রেমিকার কবিতার তৃষ্ণা মেটাতে না পারার অপরাধবোধে,
বুকে খাপছাড়া কলম গুজে আত্নঘাতী হবে সে।
তার কলমের কালিতে পুরনো শব্দের আঁশটে গন্ধ!


দিন কয়েক হলো,
আকাশটা কান্না ভুলেছে মেঘশূন্যতায়
কাঁদবে না আর, আফসোস নিরর্থক;
ডাহুকের কলিজায় ভর করে
রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে "জীবন-স্বাদ" উড়ে গেছে আকাশ ডিঙিয়ে স্বর্গে।
এ তল্লাটে শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কেবল-
আপনার
এবং আমার।


বেদনা,
আসুন আমরা যৌনতার এক প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্পকর্ম হয়ে উঠি
জানেন তো,
নিদারুণ পাপ ধ্বংস বয়ে আনে বাতাসে!
নিঃসন্দেহে আমাদের মাঝে কোনো প্রেম নেই
আপনার এবং আমার সঙ্গম হবে-
দুই হাত মাটির মতোই সংক্ষিপ্ত
তারপর গুটিকয়েক চ্যালাকাঠের সাথে পুড়ে যাবো শ্মশানে।
শ্বেত রক্তের শরীরটা আর না-ই বা বয়ে বেড়ালাম
ভীষণ ক্লান্ত আমি
ঘরছাড়া পথিকের মতো-ভাঙা স্বপ্নের মতো-প্রেমিকার যোনি'তে বিচ্ছুরিত বীর্যের মতো


ঠোঁটে কাঁটাতার পেচিয়ে- আসুন, চুমু খাই!
শরীরে বিষ ঢেলে দিয়ে- আসুন, পাপ রচি!
ধ্বংসদেবতার ছুরিতে হালাল না হয়ে
আসুন-না!
আমি আপনার নিঃসঙ্গতায়
আপনি আমার ক্লান্তিতে
বিনেপয়সায় এক চুমুক মৃত্যু পান করি।