বড় অসুস্থ সময়ের হাত ধরে হেঁটে এসেছি
এতোটা পথ
আজকাল বড় বেশি ক্লান্তি ছুঁয়ে যায়
দু'চোখে আঁধার ঘনায়
হাজারো তনুর আত্ম-চিৎকারে ঘুম টুটে
যায়
বড্ড হাঁসফাঁস করে বুক।
.
কতশত দিন গুটিয়ে থেকেছি ভীত
হরিণীর মত আমি আমাতেই
অবাঞ্চিত স্পর্শে কেঁপে কেঁপে
উঠেছি কতবার
অথচ দেবতার মুখোশ পড়া অমানুষ গুলো
ভেবে দেখেনি
লাল-সাদা অন্তর্বাসের নীচে মাংস
পিণ্ড ছাড়াও আছে একটা শিশুমন,
ওদের কি জানা ছিল না শিশুরা কতটা
স্পর্শকাতর হয়?
কতটা ঘৃণা  পুষে রাখে?
আজো দেখি ওদের সেজদার দাগ
কপাল ছুঁয়ে যায়
আর আমার মুখে উঠে আসে একদলা থুথু।
.
মন্দির থেকে মসজিদ,রাজপথ থেকে
অট্টালিকা
সর্বত্রই কেবল ক্ষয়ে যাওয়া দেখি !
মেয়ে তোমাকেই বলি,যতবেশী
কোণঠাসা হবে
অবাঞ্চিত স্পর্শ ততবেশী তোমায় ছুঁয়ে
যাবে
লজ্জায় যতবেশী অবনত হবে হায়েনার
হাত ততবেশী প্রশস্ত হবে।
.
মেয়ে,একবার ঘুরে দাড়াও,মুষ্টিবদ্ধ
করো হাত
দেখো তুমি একা নও,পাশেই আছে
হাজারো নারীর কাঁধ।.