আঙ্গুর মিয়ার ঘুমটা ভারী
অনেক দামে কেনা,
ঘুম কথাটি বললে যে কেউ
ঠেকাতে পারবেনা।


কাঁথার মাঝেই থাকে সে যে
ভীতরখানা ফাঁকা,
পোশাকখানা কোথায় আহা!
গলায় ঘোরে চাকা।


এককাঁথাতেই রাতটা আসে
এককাঁথাতে শোয়,
সকাল বেলা সেই কাঁথাটা
পড়েছে হইচই।


পা হয়ে যায় আকাশমুখো
পিঠের নিচে কুলো,
উড়ছে সারা ঘরের ভীতর
বালিশ ছেঁড়া তুলো।


গভীর ঘুমে বিকট জোরে
পাশেই মারে থাবা,
বোম ফাটালে ভাঙেনা তার
কেমন ঘুমরে বাবা!


ঘুমচোখে যায় মাছের বিলে
জালের মুঠি ধরে,
সামনে বড় পাঁচিল বেঁধে
চিৎ হয়ে যায় পড়ে।


এবার বুঝি ঘুমটা ভাঙে
কপাল ফেটে গেলো,
রক্ত ভিজে রইলো আঙ্গুর
পড়ে এলোমেলো।


কোথায় থাকে এমন ছেলে
জানিনা তার বাড়ি,
ঘুমটা নাহয় একটু বেশী
কেনো তাকেই নাড়ি!