ওই ওপাশে একটু দূরে
ঝাউ বাগানের কাছে,
একটা ছোট হরিণ ছানা
কেমন করে নাচে।

হাঁটার পথে পায় যেটা সে
ধরে ধরে টানে,
কচি ডালের কচি পাতা
তার কথা সব জানে।

শুকনো পাতা পা মাড়িয়ে
যায় কখনো দূরে,
বন-বনানীর সবুজ আঁচল
দেখে ঘুরে ঘুরে।

মায়ের আদেশ-থাকবে ঘরে
একলা হরিণ ছানা,
ডানপিটে মন বাইরে গেলো
শুনলো না সে মানা।

হাটতে হাটতে যেই দাড়ালো
একটা ঝোপের পাশে,
গরর্ গরর্ আওয়াজ যেন
কোথায় থেকে আসে।

সাধ জেগেছে দেখবে বলে
শব্দ এটা কিসের!
নাকি বাঁশির সুরের যাদু
নাকি কারো শিষের।

এই ধরনের শব্দ সে যে
দেখেনি তো আগে,
পেছন থেকে আগলে ধরে
ডোরাকাটা বাঘে।

ছিনিয়ে নিলো হরিণ ছানার
ছোট্ট দেহখানা,
কেন শোনেনি মায়ের বারণ
পূরলো ষোলআনা।