শেষ নীলিমা হলো দেখা নদীর কিনার বাঁকে,
রঙধনুটা তখন গেলো মেঘ-মালাদের ফাঁকে।
উল্টে আকাশ সাদার ভাজে নীলচে দাতে হাসে,
কাঁশের শিষে টা টা জানায় নরম তুলোর আঁশে।


খুব সকালে বইছে শীতল উত্তর হিমেল বায়ু,
কড়কড়ে রোদ তাজা রবি হারায় শিশির আয়ু।
সাদার মেলা মেঘের পালে হারিয়ে গেলো দুলে,
স্মৃতির ডালি ভাসে আজই শিউলী বকুল ফুলে।


রাতের কালো ফর্সা হলো ভরাট চাঁদের হাসি,
ওপাশ থেকে বিছায় আকাশ তারার ঝলক রাশি।
রবির তেজে স্বর্ণরেণু মিষ্টি রোদের কণা,
রাজকুমারী শরৎ শেষে তুলেছে তার ফণা।


মল্লিকা তার গন্ধ মিলায় অদূরে চাল ফুঁড়ে,
ধানের বনে হলদে আঁচল সোনালী  গালজুড়ে।
বক একাকি তীক্ষ্ণ চোখে হাটু জলে বসা,
অল্প জলে মাছের যেন মুমূর্ষু এক দশা।


বিকালে বয় ঠাণ্ডা বায়ু সকাল বেলার মতো,
দূর আকাশে রঙিন ঘুড়ি মজাই যেন কতো!
ঢেউয়ে ভাসে ধানের মাথা মনটা যেন কাঁড়ে,
উদাস বিকেল চাষীর হাসি কিষাণী নথ নাড়ে।