এক নপুংসক সময়ে
নিজেকে বগলদাবা করে
শিশ্নাচারীদের দঙ্গলে
নপুংসক হতে চাই!
আমার দৃষ্টির সীমানায়
রক্তবৃষ্টির ব-দ্বীপে রক্তচোষা বাদুর
শ্বেত ভল্লুকেরা আমার দৃষ্টির নাগালে
দুচোখে কালো মেঘের ছাপচিত্র
দিগন্ত জুড়ে নীলাভ অনুভব  
পৃথিবীর জনসমুদ্রে চোখে নেই জল,
শুধুই কোলাহল!


কান্না, তুমি অন্য কোথাও যাও!
ভূপাতিত পাতাগুলো জুড়ে বৃক্ষবৃত্তের বৃত্তান্ত
তত্ত্বসার অস্পৃশ্য, ছুঁয়ো না
হে স্পর্শ!
বিষণ্ণ কোটরে তার বেঁধেছে বাসা
বিষধর!"


আমার আগুন চাই
আমি কার কাছে যাই?
দেহ মনের সীমান্ত বিরোধ
মাটির তলায় কাঁপন
তাড়নায় উপড়াতে চায়
নপুংসক হতে চাই!


দিবাকরের লালিমায়;
সন্ধ্যারাগের নৈবদ্যে
কালক্ষেপন
তোর বেদনার বর্ণ গোধূলি লাল
আমারই পোড়াকপাল...


ধর্ষণের শীৎকার শুনবে না
মুক হও!
ঘাতক বারতা
শ্বাস নাও!
সোৎসাহে, স্বাগত জানাই
ভর সন্ধ্যায় লজ্জাবনত মুখে
হে দামিনী
আমরা নপুংসক!
তোমার ঘৃণার বজ্র পাঠাও
একদিন, পুরুষও মানুষ হবে!
আশীর্বাদের আজ বড়ই অভাব
নপুংসক ধর্মের ঈশ্বর প্রেমী....
বেশ্যা সভ্যতার অসভ্য মানুষ!
আজ আমার অহংবোধ ধুলোয় ধুসরিত
জলের অভাবে পিপাসায় প্রতিনিয়ত
বড় কষ্টে আছি! বড় কষ্টে আছি!!


আমি ব্যর্থ কবি
আমার পরম প্রেমিকা,
আমাদের আদরের বোন
ধর্ষিত হলে
আমি ধর্ষণ-মহাকাব্য লিখতাম
এখন আমরা স্বাধীন,
স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক
ধর্ষণ করে না, স্বাধীনতা উপভোগ করে
ধর্ষিতা বাস্তুহীন শিল্প, নেই ঠাঁই কাব্য ধর্মে
তাই আমি আজ
চির নত দাসানুদাস
আমি অসহায়...


নিজের কাঁধে নিজের লাশ!
পরানের দূর্বা ঘাস
আমার রুমাল... নিজে নিজে,
নিজেই মাড়ায়....
- স্বপ্নময় স্বপন©
[আজকের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিকের শিরোনামের লোমহর্ষক ধর্ষণের পর হত্যার সংবাদের ভিত্তিতে লেখা]