জন্মেছি আবার!
আমি আমার
আপন তিমিরের অধীশ্বর!
এক দিকে পুণ্যকর্ম
অন্যদিকে আমি দুরাচার
চোখে ভাসে বন্ধুর মুখ
অন্য কোথাও প্রিয়ার চিবুক
প্রেম কী সহজ
অলক হৃদয়ে বিষম জ্বালা
পান্থশালার কিসের গরজ
নৃত্যে প্রেমে প্রার্থনাতে
কেউ কি জানে কি আছে
মনের গহী্ন অন্তরেতে
সেই বয়সে...
ভালবাসার নির্যাস
রেখে গেছে কবিতা
আমার খোঁজে
অথচ আমি পাশাপাশি একা
ভুতান্ধ মানুষ
সময়ের ঠোঁটে
নিয়তির নির্বিকার হাঁটা
বিপন্ন উদ্‌ভ্রান্তের মতো
জাগুরুক চেতনার ব্যবচ্ছেদে
বিপ্রতীপ ঘুম স্বপ্ন সমান
রাতের আঁধার থেকে স্মৃতির কুহক
অতৃপ্ত বাসনার ভয়ানক আর্তনাদ
ধূলায় ধূলিসাৎ
তোমার মুখ-পৃথ্বীর পাশেই বসত
আমি তুমি একা শূন্য হাত
সৃজনীসত্তা পেরিয়ে যায় সময়নদী
কফিপটে পড়ে থাকে ছাতা, সর্পবিষ, জন্মের নাড়ি
আর কেউ নেই
মৃত পুষ্পের বরষায় সমাহিত আমি
শরীরপ্লাবী সুড়ঙ্গপথ রক্তাক্ত নালার
জান্তব যৌবন মর্মহীন
একই চিঠি একই চিঠি দাবার দান
চেক দিও না মন্ত্রি যাবে!
আমার নগরে বিভ্রান্ত পথ, দেহাতি মানুষ
সাদা ভাত নিঃসন্দেহে অধিক সুন্দর!
অদৃশ্য চুলোয় স্বপ্নরে পুড়ে
একা ঘুরছি - সবই ভুলে যাচ্ছি
যেখানেই যাই পেছনে যায় তিক্ততার ছাপ
নদীরা আতঙ্কে দেয় অভিশাপ
প্রায়শঃই এমন হয়
হিংসার হাসি, দাঁতে দাঁত ঘষা
কাকতাড়ুয়ার মতো
অশরীরী আলখাল্লার
তাড়া খাই নিয়ত
এখন নিজেকে মানুষ ভাবলে
লজ্জ্বায় আতঙ্কে বিবমিষা পায়
আঁধারের সহস্র দুয়ার
পেরিয়েছে মানুষের শেকড়
পৃথিবীর চেনা মৃত্তিকা
বিষণ্ণতার এক তামাম পরিবার
প্রকৃতির তাবৎ নাম
অন্য কোনো নক্ষত্রের গর্ভে
জন্ম নেবে অনিবার!
ক্ষিপ্র তুমি চিতার মত তন্বী,
তোমার সংসারের ঝোলে
অদৃশ্য স্রষ্টার শৈল্পিক উড়ান
আঁধার তো জীবনেরই দান,
আনন্দ বিষাদে বর্ষারাতে
প্রিয়তমা, তোমার সুগন্ধী
পেঁয়াজের দীর্ঘ স্তবকে
প্রোথিত তামাম বর্ণমালা ছুঁয়ে যায়
আমার আদিগন্ত অখণ্ড তিমির
অবাক মর্যাদায়!
-স্বপ্নময় স্বপন©