কী যে হবো জানা নেই, জ্ঞান নেই, এটা সেটা ত্রুটি!
আজীবন কষ্ট পাওয়া, অন্ধকার পার হওয়া
ক্রমশ বয়স বাড়ে, আরও বেশি অজ্ঞ হই!
একেকজন পথিকের একেকটি ব্যক্তিগত পথ
প্রতিটি পথিককে প্রতিটি পথ কী বলে কে জানে
অন্ধকারের মধ্যে তখন দিকভ্রান্ত মাথা ডুবিয়ে দেই
গ্রীক ভাস্কর্যের মাহাত্ম্য নিয়ে
বিষণ্ণ আকাশের নিচে অনিঃশেষ বেদনার পথে
নীল রাতের নিশ্চুপ জ্যোতির্ময়তায়!


আমার হাতের তালুতে
মুদ্রাসম সূর্য পুড়ে যেতে থাকে
দেহের রাতে
আমার মস্তিষ্কের ভেতর
অন্তর্গত বৃক্ষের ঘন পত্রসমষ্টির
অগ্নিডালিমের প্রস্ফুটিত বিজ্ঞাপন


আমারই পায়ের কাছে
অতিশয় অনুকূল কালের
অনির্বচনীয় কোলাহল
অস্থিরোগাক্রান্ত গজকূল
নগর ভালোবাসে!


মাঝ রাতে শহরের মাঝ দিয়ে
ঘুম থেকে জাগিয়ে
সযত্নে ভিজিয়ে দিই সাপ আর শব্দের শরীর!
দীর্ঘ অসুস্থতা ঘিরে
তোমাদের প্রছন্ন বিদ্রুপ আর অলস মুর্খামি
শাড়ির বিভ্রমে ক্লান্ত!


প্রসব প্রয়াসী জলের কথা নিয়ে
উড়ছিল ময়ূর পালক
আগুনের দিকে
গরম বুকের দুধ
এ আগুনে পোড়ে না দুধ!
সতর্ক বেড়াল!


ছিন্নমূল শৈশবের চাঁদ!
ধর্মহীন প্রতীকী বিষাদ
ঝুলিভরা সর্বনাশ নিয়ে
নৌকোডুবির নৌকোয় আসছে পাথর!
নেভা উনুনের উন্মত্ত বন্দরে
বিপন্ন আগুনে পোড়ে কাঠ নাকি
কাঠে আগুন
ঠিক বুঝতে পারি না
কে কাকে পোড়ায়!
-স্বপ্নময় স্বপন©