এক ঋক্ষের ধৈর্য নিয়ে
আমার কথোপকথন
পৃথিবীর তাবৎ আলোর উদ্ভাসন
তোমার অবয়বের ওপর
পৃথিবীর তোমার তুমিকে, আমার আমিকে
আলিঙ্গন করিনি আমি
নিবিড় একটি চুম্বনে
অভাব থেকে এসে শত দারিদ্র্যেও
মৃত্পাত্রে ধরে রাখা
শৈশবের সুখময় রুপালি পয়সা
অভাবী স্মৃতি, তোমার হৃদয়
মেঘের বুক ছিঁড়ে একটা সমুদ্র হঠাৎ
আবিস্তার ভালবাসার পোশাক বুনে
শূন্যময় ঘরে শূন্যে বিলীন,
উড়ন্ত রোদ দুরন্ত বেগ অর্থহীন
যারা মানুষ নয়, ধারালো মুখ
শুষে নেয় সূর্যাস্তের আলো বেবাক
সেইসব অমানুষের হিংস্র নখ
ঘিরে থাকে আমাকে, রমণীয় নদী আর পাখির শাবক
আমি দুঃখবান, দুঃখময়,চিনেছে পৃথিবী অনেক বছর
গভীর শোকের পরেও ব্যথা দেয় ভাগ্যলিখন
আলো নয়, পেয়েছি আগুন
অমিত দৃপ্ততায় জ্বলে অখন্ড জীবন!
ছিন্ন শরীর, সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই
অদৃশ্য তাঁত দিয়েই নীরবতাকে আমূল পাল্টাই
জিহ্বার বিশ্বাসে বিষণ্ণ ঝাঁঝ বাতাসের ডানায়
এনে দাও স্নিগ্ধ নিরাময়
সমুদ্র যেখানে দুর্বার, তুমি-আমি, এক
চৌম্বকীয় জলজ ভাস্কর্য!
তোমার আঙুল
আমার চোখের ওপর বর্ণমালা ছুঁয়ে
দেয় পানপাত্র পাহারা!
তুমি যদি কষ্ট পাও,
নিজের ভঙ্গুর হাতে
দ্বিতীয় মৃত্যু হবে আমার
যদি মরে যাই
সেই অবর্তমান বিশাল ঠিকানায়
তাসের শরীরেও সাজানো যায়  
ঘর অন্য ঘরে
তুমি বাস করো
অনুভূতির সূতোয় অন্তরের ক্যানভাসে
আমার অবর্তমানের ঘরে!
সূর্য থেকে সূর্যে, দক্ষিণ থেকে দক্ষিণে
উন্মুখ অজর চোখে খুঁজো না আমায়
আমি নেই!
তোমার নামের দিকে চোখ তুলেই
ভালবাসা নিজেকে চিনতে শেখে!
তোমার ভেতর বেঁচে থাক
আনন্দের উত্তরাধিকার
আশ্চর্য আদিম নিথরতায়..
- স্বপ্নময় স্বপন©