ছিল আয়ুহীন কবিতা
ছিল শব্দবীজ
ছিল কিছু তোতাপাখি
চোখ আর


বিদেহী জন্ম নিয়ে নিঃশব্দ নূপুর!


হাতের আঙুলে ছিল
উম্মাদ আগুন
ছিল অদৃশ্য পূকুর
ছায়ার ভেতরে ছিল
সাপের সুদীর্ঘ চুম্বন
হাতের আঙুল থেকে
ছায়া নির্বাচন


যে আগুনে পুড়ে যায় দক্ষিণ দুয়ার!


জন্মের যন্ত্রণা ঘিরে
ছিল ঘাসের বিছানা
ছিল সবুজ প্রকৃতি
ছায়ার ভেতরে ছিল
অন্ধকার দেয়াল
যে অরণ্যে স্মৃতিহীন ঘনিষ্ঠ রাজহাঁস!


দিঘিজলে ছিল তেলরঙ ছবি
অসুখী ভ্রমর ছিল জলের গভীর
অন্তরঙ্গ মেঘ ছিল
ছিল গাঙচিল
ছিল জ্যোৎস্না শরীর!


উদাসীন নির্বাসন জানে না যুদ্ধের কৌশল!


শব্দের পাঁচিল ঘেরা
ছিল কিছু বিকল্প মিনার
চাঁদের হাতে ছিল সমস্ত অসুখ
ছন্দময় নাচ ছিল
ছিল নিগতি রাত
বিরাগী চড়ুই ছিল
অধরা পাখির প্রেমে
ছিল বিরহ-বিষাদ


প্রাচীন মোহর ধার্য মারীচ বধের ছল!


ঈর্ষাহীন যুদ্ধের আড়ালে
ছিল কিছু আর্তনাদ
বিকৃত স্বপ্নে ছিল অনুতাপ
দ্বিধান্বিত ছিল চিত্রকলা
ছিল অমরাবতীর রোদে
অসুস্থ বিবেক!


তবু সব উচ্চারণে,
এখনও নামাতে পারি ধুসর আকাশ!
-স্বপ্নময় স্বপন©