আত্মা হে,
বৃক্ষরা ভেঙে গেছে!
রক্তলাল নদীনালা ব্যাপক বিস্তৃত
মুছে গেছে কঠিন শিকড়
শুধু সময়ের ব্যবধান
নগরীর ভেতর নগরী উপুড়
অস্পষ্ট রাত অস্পষ্ট নিস্তব্ধতা  
সমুদ্র থেকে নীল স্বপ্নেরা জড়ো হয়
সাদাটে মেঘের পৃষ্ঠায়
অচেনা নগর
বাতাসে ভর দিয়ে
অবনতমুখী!
দু:খ ভারাক্রান্ত উলঙ্গ দু:খ
মেঘেরা বিবাগী  
উড়ে যায় বৈধব্যের ব্যস্ত উঠোনে
সমুদ্রসঙ্গমের সীমাহীন ক্যানভাসে
বিবাগী আষাঢ়
হৃদয়ের দাবি নিয়ে
পড়ে থাকে একাকী
তুমি-আমি-আমাদের
ছুঁই এই ছুঁই পৃথিবীতে
তৃষ্ণার্ত সূর্য
একটু একটু করে
ভিজে গেছে বিবাগীর ঘামে
নদীও কূটনীতি জানে
জল সে দেয় না বৃষ্টিতে
শরীরের রাধা জংলি কুসুম!
জ্বলন্ত অঙ্গার অলিগলি
শহরে শহরে চুরি হয়ে যায় চুড়ি
বাষ্পীভূত তুমি
এখনও কি স্বপ্ন দ্যাখো
স্বপ্ন কি রক্ত-মাংসে
অস্তিত্বশীল বর্ণবিভাসহ
আমি এখন সছিদ্র শতচ্ছিদ্র
আমার বিষয়ে না কেউ
পড়েছে , না বুঝেছে আমায়
হয়ে যাই স্বর্গীয় ছাই ভরা মৃৎপাত্র
এক বেবাক আঁধার
মানুষের নিয়তি ভ্রান্তিতে ভোগা!
সৌরভময় ভালবাসা হতে থাকে জমা
গোপনে
কে জানে এতটা বিশদ
কতটা গভীরে
নিযুত মৃত নক্ষত্রের অতিন্দ্রীয় দৈর্ঘ্য
মাপে না সময়ের ফিতা
সময়ের মিষ্টতা মাপা অর্থহীন
তামাম গ্রহের ভেজা ত্বকে
শেকড়ের বেদনার ছাপ
চুমুতে অতিক্রম করি, অদম্য, কর্কশ কাঁটার
ঘরের বাঁধন কি খুলবে ঘরের দুয়ার?
কামিজের নিচে স্তন খোলা রাখবার
সময়টা বেশ চমৎকার!
আমার প্রেম আমার রক্ত দৃষ্টিহীন
উন্মীল জ্যোৎস্নার পরতে পরতে জং
ভালবাসা তার লম্বা লাঙ্গুলে ঘুমহীন
নির্দোষ জীবনস্ফূর্তির রঙ
স্বচ্ছতোয়া জলেতে বিলীন!
-স্বপ্নময় স্বপন©