প্রিয়তমা আমার
তুমি দৃষ্টি দাও এবং দ্যাখো
বালির শরীরে
অমীমাংসিত ফাঁদ
শরীরে শরীরে
অনুভূতি মাখা মোম
মাটি খুঁড়ে-খুঁড়ে প্রেম
চোখের ভিতরে
স্মৃতিভেজা ম্লান
আঙুলের স্বাদ!
গতকাল একদিন
নির্বিকার আকাশ
নদী জলে ঘাসে নিদ্রাহীন
তুলেছে গ্রীবা মরমী বাতাস
প্রথম রাতের পুণ্য লগনে
অন্ধকার হাতে
সূর্যও চুম্বন করে
বিলুপ্ত পাখির পালকে
পূর্ণিমার মধ্যে
প্রিয়তমা আমার
চোখের কোণায়
দেখাবো খুলে
পরস্পর
বিমূর্ত সূচে নক্ষত্রের ছাপ
প্রেম ও নিভৃত লালের অভিশাপ  
ভালোবাসা যদি
অমার্জনীয় অপরাধ
নিমেষে বাঁধবো
শর্তবিহীন হাত
প্রাণহীনভাবে জগতে জীবনে  
বেঁচে থাকা লজ্জাকর!
নির্বিবাদে গত হয় দিবাকর
কুদরতি বড়ই আজব
সচ্ছলতার ঘরে বেদনা গজব!
বাঁশির যুগলবন্দী অভিমান
কুমারী নাভিতে জমেছে দুখ
সুরে লেগেছে উন্মাতাল তুফান
স্বৈর দহনে মরণের মতো সুখ
ভেনাসের মূর্ছনায়
নেচেছিলো স্বর্গীয় দেবদূত
বিমূঢ় হওয়া পর্যন্ত
শুনতেই থাকো
শুনতেই থাকো
হৃদয়ের তর্জমার স্তুতি নিযুত
আলোর অন্তহীন চঞ্চল
ডানারা যেমনি  
ভালোবাসার সাতনগরী
নিরীক্ষণ শেষে
অগ্নির মতো প্রদীপ্ত
ভালোবাসতে থাকো
ভালোবাসতেই থাকো
যেন সবুজপাতার কার্ণিশে
অন্ধ ঠোঁট নদীর মত জলমুগ্ধ!
প্রিয়তমা আমার
স্বচ্ছ ছিল যে
পরিযায়ী পাখির চঞ্চুতে আনা
চৈত্র দুপুরের মর্মর
ছোঁয়া ছোঁয়ায় শূন্য বসুধা
নিজেকেই নিজে চিনে না
শূন্য পাথারে
অযুত স্বপ্নে
ঢেকে দাও চোখ
আঙুলের নখে!
-স্বপ্নময় স্বপন©