নষ্ট সময় আমার উঠানে বলে,
এ পথে নয়, ‘ভালোবাসা’ এই পথে গেছে!


দেয়ালের চত্বরে কোন কবিতা লাঙ্গুল নাড়ে
আগুন পুষে রংধনু চোখে সূর্যস্নানের স্বপ্ন ছোটে...  
অরণ্য আবীর হাসি অধরে অবর বেলা
প্রতিরাতে জাগে!


মন অজান্তে চেয়েছিল মেঘ বৃষ্টির সংসার
অভিমানের পাহাড় মাড়ায়ে আমার এই বেঁচে থাকা
ঠিক কি কি কারনে যেতে যেতেও হয়ে ওঠেনি যাওয়া
আপনাদের, তোমার ও তোদের নিশ্চিন্ত অবহেলা!


লগ্ন পোহালে, অবহেলা প্রহর গুনতে এসেছে
স্বপ্নের প্রহরে...
মাটির পুষ্টি খেয়ে করে অবহেলা
তোমার শ্রাবণ!
কি হল্লা! কি জীবন!


এখানে ওখানে সেখানে কোথাও
আপনি,তুমি তুই
কেউ পছন্দ করছে না
আমাকে
এতই অবহেলা!


দূরে থাকি, দূরেই থাকি
প্রতীক্ষায় যায় বেলা
হেলা'র উপর হেলা!


নীল শাড়ী, ক্ষুধা, অবহেলা সময়
নিশি কন্যা, ভালোবাসা, লাল গাড়ী
রক্ত, দুঃখ,মৃত্যু, যোজন যোজন কাব্য
পোড়ামন!


আমি নিতান্ত দুর্ভাগা সাধারণ মানুষ
নিঃশব্দের ভিতরে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে
সন্তুষ্ট থাকতে পারিনি
নিতান্ত কম সঞ্চয় নিয়ে চলেছি!


কালি আর কলমের 'পর ব'সে আরূঢ় ভণিতা
অবিরাম ও অজস্র কথা কয়ে চলে
জানিনা কবিতা আমায় আদৌ ভালোবাসবে কি-না!
মানুষের ভীড়ে কেউ মনে রাখে না!


অদ্ভুত এই গ্রহে!
রাজপথে স্থির সূর্য
কোলাহল স্তব্ধ করে বেঁচে আছি মৎস্যহীন!
পৃথিবীতে নিতান্ত সাধারণ মানুষ
সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়
যেমন আমি!


সমাজ, রাষ্ট্র, ঘর-সংসার পাওয়া না পাওয়ার দ্বৈরথে
লোকালয় থেকে অদূরে
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা নিঃসঙ্গ প্রাচীন বটগাছ!


কবিতার দুরারোগ্য ব্যাধি
আমাকে আমৃত্যু বহন করতে হবে
অধরা স্বপ্নডানার পালকে!


আমার ব্যর্থতা, পরাজয়
বেদনামিশ্রিত আত্মগ্লানি নিয়ে
পৃথক অস্তিত্বের ভেতরে
হাতের তালুতে খেলে বিষধর সাপ
অশ্বখুরের ধূলো জলের ছোবলে!


বেঁচে থাকার ক্লেদ ঘৃণা, অবজ্ঞা
রক্তের ভেতর ধারণ করে
আমি রাস্তাকেই নদী করে দেব!


মানুষ হবার জন্য
আপনাকে, তোমাকে ও তোকে!
-স্বপ্নময় স্বপন©