রাত্রি ভেঙে
মেঘেরা ভূমিষ্ঠ হলো
হুড়মুড় করে
রমনী শোনিত
হাইহিল জুতোর ডোবায়!
দুঃখের বর্ণহীন জ্বরে
সমুদ্রের পাঁচালি।
চিরন্তন আকাশে
লোনা জলের কণ্ঠস্বর
কেঁদে মরে কুমারী বালিকার
নিরালোক বারান্দায়!
দরিয়ার দুখিনী হাওয়া
বালুকাভূমির তলে
কুসুমার্ত দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
নদী জলে ঘাসে!
আদিগন্ত নীলিমার নধর পথ
অসম্ভব বাহুর অন্তরীপে চলে যায়,
জ্যোৎস্নার চাঁদিমায়!
মরণ এসে ঢোকে
ফুটন্ত ফুলের বিস্বাদ, ক্লান্তি, অবসাদে
বিবাগী মেঘের তীরভূমিতে।
যখনই মরি না কেন
দিও কবর
আলগ্ন সুন্দর ভূমির
বিমূর্ত অঙ্গন সন্নিকটে
অবিকল বালির শরীরে শোয়া
সিথানে চাঁদ
রাতের বসুন্ধরা যেন
আলোতে ভাসায় তরুতল
মুঠো ভরা প্রেমে
জলমুগ্ধ নিভৃত রুমাল
দিও কবর,
যখনই মরি না কেন!
-স্বপ্নময় স্বপন©