প্রেমহীন পোড়া মানুষের বৃত্তান্ত কল্পনার সর্বোচ্চ সীমায় উত্তাপ ছড়িয়ে
উড়ে উড়ে বেড়ায় বৈধ নারীর মতো নির্জন পাহাড় থেকে পাহাড়ে
স্পর্শের আগুনে!


এই খসখসে পাতায় অচিন্ত্য সৌভিক সজীব অক্ষরে কষ্ট -মেলা পাতার
ডগায়
বয়ে আনে স্বর্গের ভালোবাসা তোমার কথার শরীরে সুরসুঞ্চারী উত্তপ্ত বালুকায়
ক্ষূধার্ত যৌবনে!


নীড় চঞ্চলা তর-তরু-বোধিহীন মধুহীন প্রতীতি চিত্রল প্রদ্যোৎ প্রমিতি
দীর্ঘপ্রলাপে স্তদ্ধ অন্ধকার প্রলম্বিত করে শুদ্ধ যোনীমুখী চর্চিত জ্যামিতি
উদ্ভাসিত বিমূর্ত অঙ্গনে!


যুবতী দেহের কথা নেই; তৃষ্ণা ও সাকী নেই, নেই খেয়া,দিগন্ত পাড়ে  
কামার্ত পুরুষের ছবি নেই; নেই শোভিত স্বদেশ,গোধূলীর সমুদ্র পাড়ে
বেসম্ভব শব্দ ভীতি!


পিপাসার্ত শান্ত প্রহরগুলো মুঠোভর্তি ভালোবাসার নিগুঢ় সম্ভাবনা ট্রেনে
বাসে কাটা পড়ে
ধানীরঙা দুঃখ আঘাতে ধুঁকে ধুঁকে নিজের ছায়াকে প্রলম্বিত করে বৃষ্টির
কবোষ্ণ ঠোঁটে
দীর্ঘ কর্কটব্যাধি!


তিমির হননের গান থেকে মানুষের দুর্দম উত্থান জলের ভেতর থেকে ক্ষরণের মতো
সরীসৃপ হতে হতে হাঁটুর উপর হাঁটু রেখে চন্দ্রিমার কূটচন্দ্রে নিলাম করি
আঙ্গুল যতো
নাভীমূল সেঁচে ভেজাই কোষ্ঠি!


অবাধ্য বিষণ্ণ রাতে প্রেমকাতর চোখে ভালবাসার স্বপ্নে  অবিশ্বাসী
নিভৃত ঘুম পিঁপড়েদের
স্পর্শকাতর শরীর ছুঁয়ে একসমুদ্র স্নানে বরফ রঙের বয়সী আকাশ
পরিপক্ক রোদের ভেতর
মানুষের তামশা দেখি!


কবিতা লেখার মত স্পর্ধা করে কতগুলো বিবর্ণ আঙ্গুল পথের অসীমতা
নিয়ে থাকে দাঁড়িয়ে
কথা কোলাহল সংকেত আর স্মৃতির আকড় জীবনের প্রমত্ততা শেষে
ধুলো ছড়ায় এপ্রান্তে ওপ্রান্তে
নগরীর লুপ্ত পাথরে!


আমার অনেক সমস্যার এক সমস্যা,ক্লান্ত বিধ্বস্ত যুবকের মতো নিরন্তর
হেঁটে চলা তোমার গন্তব্যে
দজ্জালের থাবার অন্ধকারে বসে অমিয় বানী শুনি,প্রয়োজনীয় বৈরাগ্য
লুফে আমার যৌনতা বৈধতা পাবে
পৃথিবীর মাঝে!


অসভ্যতার বিপরীতে
শুণ্যেরা অন্ধ হয়ে যায় এমন অন্ধকার
কোথায় মধ্যরাতে!
-স্বপ্নময় স্বপন©