পাখির সমস্ত পিপাসায়
অন্তিমশরীরিণী উলঙ্গ দু:খের
কণ্ঠ ছিল নিদ্রাচ্ছন্ন
স্মিতহাস্যের আড়ালে
নিস্তব্ধ নীরবতা
অলকদামে লুকানো
বুকের দীর্ঘশ্বাস
জলের বার্তায়
সমুদ্রের আর্তধ্বনি
ভ্রমে অন্ধ অন্ধকারে
হোমার অন্ধ
গীটারের বিভ্রমে বিভ্রমে
নিভৃত লালের মৃদু যন্ত্রনা
কিছুই চাই না আর
রজনী কেটেছে আমার
শয্যা বিহনে
মৃত্যুর একটি ডানার
প্রাত্যহিক কীর্তন
রুদ্ধ করেছে
চন্দ্রিমার সমস্ত পথ
মৃত্যু রজনীতে প্রহরী খঞ্জনা
চেনা পথে হেঁটে যাই
যাযাবরের মতো
পেছনে ফেলে ঘর-মন
অযুত স্বপ্ন অজস্র কবিতার
অভিমানী নির্যাস তুলে
শূন্য শূন্যালয়
আমাকে যৌনতার গল্প শেখায়
অকাল সময়  
কোন এক বরষায়
নগ্ন পায়ের কাছে
দক্ষিণাবহ দর্ভাসন
এসেছে অন্তর ধুয়ে
নক্ষত্রালোকিত ইতিহাসে
আবহমান কাল  
চেনা হাতের মতন
রন্ধ্রে রন্ধ্রে জীবাণুর কীট
মানুষের নিম্নাঙ্গে দীর্ঘ লেজ
হাঁটছে আকাশে পাখিরা
জন্মান্ধ জল ঘাসের ওপর
শিকার করে সূর্যের কংকাল
অতৃপ্ত অগুনিত আত্মার
অভিশাপ নিয়ে তাই
নেমে আসে কি নেমেসিস
অভিশপ্ত নষ্ট সম্প্রীতি আর
হিংসার আগুনের কুণ্ডের ওপর
যৌবনের সমস্ত শক্তি দিয়ে
তাঁকে স্বাগত জানাই
সাময়িক ভ্রমে
মাছিদের গলা বেয়ে
চলে আসে ক্রীড়াশীল টিকটিকিরা
স্বপ্নের ভিতরে
প্রকৃতিকে করো তব দাস
সুখস্বপনে
ডুবছে ভ্রমে
অপ্সরীদের চুম্বনেতে শরীর ঘুমে
স্বৈরাচারী সাম্যচোখ দেখতে শেখায়
অদৃশ্য দৃশ্যের ভীড়ে
কলাবতী রমণী
সকল নারী!
ভ্রমে ভ্রুমি ভুলে
আমি মগজে তোমার
গতিময় মোহে!  
অশ্রুতে ইতিহাস
পাপিষ্ট মানুষের
কত দ্বন্দ্ব,কত অন্ধকার !!
-স্বপ্নময় স্বপন©