আহা বিশ্বায়ন!
কুঞ্জবনে দ্বিধাগ্রস্ত সুর
সময়ের অধর ছুঁয়ে
মনুষ্য-রূপায়ন!


শকুন, শেয়ালের ঝাঁক
অধীর অপেক্ষায়
ইহজন্ম, পরজন্ম
অশ্রুতে অগ্নিতে
সর্বস্ব খুইয়ে
এমন ডুবলে তুমি
ভুলের মৃত্তিকায়!


মেঘশর্তে পাপচিহ্ন
শরীরে অক্ষর যাপন
অষ্টপ্রহর দাবদাহ
ভীত বিহ্বল
দেখে
প্রকৃতি কেঁপে ওঠে
মনুষ্যজন্ম বোধ
সমূহ গরলে!


বদলালো কত কিছু
সময়ের বহমানতায়
তুমিই থেকে গেলে অসমাপ্ত
প্রণয়িনী নারী পরম পূজনীয়
সন্ত্রস্ত ইঁদুর!


কে বলে তুমি মহীয়সী
ভুল অভ্যাসবশে
রীতিনীতিহীন যুগে
জাত জাতি সমাজ ধর্ম
আদিগন্ত ছেয়ে ফেলে কাল সাপ
তুমি শুধু একখণ্ড মলিন আকাশ
আষ্টেপৃষ্টে তীরবিদ্ধ নগ্ন শরীর
মহাকালের জীবনস্রোতে
মুমূর্ষু হৃদয় উদ্ভাস!


দিব্যদৃষ্টিতে উন্মাদনা
বয়সের কীট
অনভ্যস্ত ঠোঁটে বালুর স্তূপ
শরীরের বাঁকে বাঁকে
হুলের খোঁচায়
রাত্রি খুলে নেয় ক্ষণে ক্ষণে
সাঁতারুর ঝাঁক......
রতির মাকুতে রুপালী জ্যোৎস্নায়!



ঝুম-অন্ধকারে
পাথর ও বিজলী হাতে
যে কেউ মাহুত
রাত্রি স্বয়ং অরণ্যের অধিবাসী
দ্বিধাগ্রস্ত দোয়েল ডুবে গেছে জলে!



মানুষ নিজেকে রাখে এক বলয়ে
ভিন্ন পরিচয়ে অচেনা আমিতে
অন্যবিধ অর্থ ভেবে
ধুলো ভেজা ঘাম পুষিয়ে দেয়
শীতল পানপাত্রে!



যে কথা বলেছি-
তুমি নারী-নড়বড়ে ঘরের খুঁটি!



সুরাসক্ত পরিব্রাজক কাফেলায়
ঠোঁটে ঠোঁটে চূলের বিন্যাসে
শরীরী প্রনয়
নারীর বিলাপ এখনো অম্লান!



ক্ষিপ্র করতলে,
কে পারে নির্ভুলভাবে এক চুমুতে ডিঙ্গোতে বাগান!



জড়তার শরীরী আশ্রয় নিঃশব্দের মতো প্রগাঢ় অন্ধকার
দ্যাখো, নারী, সময় আর আলোর পার্থক্য কতো ম্রিয়মান!
-স্বপ্নময় স্বপন©