সময়ের একটা বড় সুবিধা হল
না সে কারো মুখাপেক্ষী
না স্মৃতিদের কবর খোঁড়ে
এই গোপন সত্যিটা সে জানে
আর আমরা
অতীত আর ভবিষ্যতের মেল বন্ধন
বর্তমান বলে সুখী হই…


কবিতায়
বাইজানটাইন সম্রাট
ধর্মগ্রন্থে ঈশ্বর
থাকে নির্দ্বিধায়!


রাস্তায় একজন মানুষ অপরজনকে মারছে
তুমি তো প্রশ্ন করো না
মারলে ব্যথা লাগে কিনা
তুমি তো প্রশ্ন করো না
মানুষ একা নগ্ন কাঁপছে
তুমি তো প্রশ্ন করো না
সে শীতার্ত কি না
তুমি তো প্রশ্ন করো না!


ক্ষমা করুন হে ঈশ্বর
তুমি তো বলো না
তাঁর হয়ে
গাছেরা ধ্বংস হয়ে গ্যাছে
চুপ করে থাকো
তুমি তো কথা বলো না
গাছের হয়ে!


অথচ…


তুমি আমায় চারিত্রিক সনদ দিচ্ছো!
শালা তোকে কে দিয়েছে সনদ?
আমার একান্ত বিছানায় কে শোবে
প্রশ্ন করবার তুমি কে হে?
আমাকে ধর্ম শেখাতে আসবে না!
আমাকে প্রকৃষ্ট নিয়ম শেখাতে আসবে না!


বরং
আমাকে দাও
রুটির মতো উষ্ণ স্তন ও ঠোঁট
মদের পাত্রে
আমিও চুমু খাবো
প্রেমিকার নামে!


যখন নিজের মাংস খেতে ইচ্ছে হয়
আমাকে দাও সুন্দরতম নারী
রাত্রি গভীর হ’লে
শুয়ে শুয়ে সমুদ্র পাড়ে
দেখবো তার উৎসবমুখর শরীর!


সূর্যের শেষ দৃষ্টিতে জেগে
শেষ শ্মশানের তীরে রেখে গেছে
ক্ষত চিহ্ন!
সেই মুখ!
অলৌকিক গান!
আলোময় ঘাস!
আর ধ্বংসপ্রায় শেষ মানুষ!


আমি অনুভব করি সৌন্দর্য
শরীর ও আত্মায়
আমি অনুভব করি
আমার চিন্তা ও অক্ষরে
রমণী রমনে!


এবং
হ্যাঁ
আমার বিশ্বস্ত বিষাদ
আমার কবিতায়!


শপথ দাউ দাউ জ্বলন্ত আত্মার!
উড়ন্ত মাছিদের শপথ
সমস্ত উর্বশীদের…
প্রতিটি ভীষণ রাতে
কবিতা পাঠ শেষে…
দ্যাখাবোই অধিক প্রেম
নিখুঁত সঙ্গমে!


অনন্তকাল মুগ্ধ বালিকা
পৃথিবীতে নাই!
প্রশংসা করো আমার কবিতার…


অগ্নীর শপথ
ডানাহীন উড়ানের শপথ
আমি শুধুই মুগ্ধ হতে চাই!
-স্বপ্নময় স্বপন©