বৃক্ষের নাব্যতায় শোবার জায়গা না পেলে - হাঁটো!
অপসৃয়মান হাতের রুমাল বিশ্বাসযোগ্যতা দিয়েছিল
অমল পুণ্যময় জলে!
ইতিহাসের জিব ক্লান্ত লালায়
পত্রপল্লবগ্রাসী ক্ষুধার্ত চেহারা পরস্পরের কামনায়!


প্রশ্ন করো না!
মন এক অন্ধকার শহর
দুঃখে ভরা মন
আজ দুঃখ হয়ে গেছে
হৃদয় গভীর!


নির্জন রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে
আত্মারা খুলছে শরীর
গুল্মলতা শুঁকছে এখনো
পাতা ঢাকা পদচিহ্ন!


দাঁড়ভাঙ্গা দাঁড়কাক
মস্তিস্ক খুঁড়ে খুঁড়ে
গ্যালাক্সির মায়াবী কড়িকাঠে
দেশলাই জ্বেলে সূচিকর্মে ব্যস্ত!
সেই ধোঁয়াশার মাঝে
মাছিদের লক্ষ কোটি চোখ
দেখে যায় চুপচাপ নির্বিকার!


শাসক নক্ষত্রগুলোর বজ্র আঁটুনিতে
উড়ে গেছে পরবাসী রোদ অবৈষয়িক মৈথুনে
ভাসমান সূর্যের চোখে রতিদক্ষ উইয়ের ঢিবি,
গোপন গুহায় উষ্ণ হয় পতিত প্রহর!


বিশাল অন্ধকার দূরত্বে
ভাঙ্গা আংটিতে ছড়ানো কক্ষপথ
সোচ্চার ডানাগুলোর পদধ্বনি
আমার মাথার উপর!
পাশের ঘরে হেঁটে
ধোঁয়াটে শরীরে রাখবো তোমার হাতদুটো
অথবা অধিকার নিয়ে যেখানে ইচ্ছা
মিশুক জল প্রবাহে অথবা শূন্যে আরোহণে
হৃদয় জীর্ণ!


রাত্রিবেলা দেয়ালের ভেতরে
রাত-পোশাকেরা হাঁটে
যে দিন বিশ্বাস রেখেছি
জীবন সংক্ষেপ!
আমাদের শিশুরা থাকবে
প্রেম স্বপ্নে উন্নীত,-দেখাও তাদের
কোথায় জাগ্রত চক্ষুর উৎসমুখ?
-স্বপ্নময় স্বপন©