মাছেদের হৃৎপিণ্ডের ধ্বনি
এখনো নিশ্চিহ্ন নয়
দুবলার ডগার কষে
কেউ কেউ ধুয়ে নেয়
হৃদয়ের সমস্ত লালা
এখনো!


মাছে-ভাতে
আঁশটে আফিমগন্ধে
কাগজী লেবুর অথৈ দীর্ঘশ্বাস
অধরে ঝুলে থাকে ছিন্নহাসি
অযথা চাঁদের আলোয়
ঘুমাতে হয়
শীতল শস্যের  লৌকিক বাংলায়!


বুকের ওপর
ঝাড়বংশে বাড়ে আগাছার চারা!
উড়ছে দুরন্ত শৈশব
পৃথিবীর নিভৃত ক্রোড়ে
বাগানের রোদে
বহুতল টাওয়ারের ছায়া
গোরস্থানের প্রতিটি সমাধিগাত্রে


এখনো পাওয়া যায় ভুখানাঙা মানুষের সাড়া!


ভোরবেলার বাজারে
নিজেকে অদৃশ্য রেখে
মাড়িয়ে যাচ্ছে
আমিষাশী রক্তের তাজা ঘ্রাণ!


মাতাল অশ্বকুল উড়ায় পুচ্ছরাশি!
আমরা শুধুই ভাবতে থাকি
আমাদের প্রত্যেকের
নিজ হাতে অন্ন গ্রহণের প্রথম দিনটি
কেন যে মনেই পড়ে না!


গৃহব্যথার নিথর পাঁজরে
প্রতিক্ষণ রক্তাক্ত হয়
ঘনচাঁদের নিজ নিজ ডানা!

সদ্যমুক্ত বাঙালির প্রসন্ন ললাটের
খোলা চত্বরে চেতনার বিধ্বস্ত
অশ্রুপাত!

মধ্যরাতে ভাষার বন্ধনে
নিঝুম বৃষ্টিতে ইতিহাসের
শোণিত প্রপাত!
-স্বপ্নময় স্বপন©