পথপ্রান্ত আমার তীর্থ নয়.....
একটা টানের সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি
গোত্তা খেয়েও বৃষ্টি ধরে চোখে
নাটাই তখনও
আকাশ জুড়ে শুয়ে ছিল রোদে!


মন ভালো নেই!


মন ভালো নেই
মন ভালো নেই
মন ভালো নেই


মন ভালো নেই, নেই তো নেই...


এক অদ্ভুত নীল ঘুড়ি!
মূহুর্ত ভুলের
উচ্ছ্বসিত চোখের অবাক বিস্ময়!


ঘুম চোখ,
মানুষের ভিড়,
যানজট
লাল পাড়, নীল চুড়ি
আধখাওয়া শরীর,
ক্লান্ত পায়ে ছুটে চলা...


ভাঙ্গা আয়নায় পাপ ও দুঃখ
ভাগ্য জানলা ভেঙে স্মৃতিহীন
স্ত্রীচরিত্র নদীর অদীক্ষিত অক্ষি
রমণীশরীর হাঁসের পালকে হাসাহাসি
নিকষ বৃত্তের  ত্রিভুবন!


পাপোশের শিয়রে
বেজম্মা বালিকা
তিন জোড়া নগরে
কম্বুকন্ঠ শান্তিনিকেতন!


মেঘ ছুঁয়ে দেয় জন্মতিথি চুলের বিন্যাসে
ধূসর অন্তিমে
ভূগর্ভের মহার্ঘ্য ঢেকে গেছে
চিলের ডানায়
তোমার নরম হাতের মতো
গ্লাসে গ্লাসে চাঁদের আলো
কিন্নরকণ্ঠী মাংসল রমণীরা
ঠোঁটে করে এনেছিলো কুসুম শঙ্কাশে।


স্বপ্ন ভাঙ্গার ভয়
নবজাতকের কান্না
নি:সঙ্গতার রিম ঝিম
পাঁজরে পদ্ম গোখরো
বুকের গভীরে শূন্য নীলিম
আর কতো দীর্ঘ হবে ?


বিনয়ের চুনকামে লোভের পলেস্তরা,
ইটের সমুদ্রে লোভের চাষাবাদ!
ব্যাভিচার, নৃশংসতা, অহংকার,
ক্ষুধা আর কাম তৃষ্ণার হাহাকার!


আর কতবার
পুঁজিবাদের নিশানা
আত্মায় ঢুকিয়ে দেবে
অবাধে নির্ভয়ে!


আর কতকাল
প্রাচীন বিলুপ্ত সভ্যতার মতো



শুধু বেঁচে থাকবার জন্যে বেঁচে থাকা যায়...
-স্বপ্নময় স্বপন©