শোনো তবে অবোধ, অবুঝ শিশু!
এখানে রমণীগণ অপচিত্র,দাস্যবশীভূত
অর্থলোলুপ, রতিশ্রমশীলা
লম্পট পুরুষ- অমর পাপিষ্ঠ, রক্তহোলি ভরা
দূরতম অন্ধকারের ছায়ামূর্তির সুর
রম্য বিছানায় ধী-শক্তির আঠালো কাদায়
ভোগসর্বস্ব উন্মত্ত বন্য কামাতুর!


যে তালে অপ্সরী নাচে এবং নাচায়
সেই তালে রাতভর।
আহা! কী চমক!


উষ্ণ আমেজ কাম-তাপ রসায়ন
নাচের তুঙ্গ আবেগ হিল্লোলে ফুল্লময়
দুর্ধর্ষ দমক!


আত্মাগুলো, এমনই প্রচণ্ড ক্ষুধাতুর!


শিশুতোষ আদুরে জীবন
ভাবে শিশু
ভূধর ভূগোল
শুষ্ক আলোক শুধু!


তবু
স্বপ্নঋদ্ধ বলাকা পাখায়
রাষ্ট্রীয় ঝাঁঝালো ব্যঞ্জন
শাসক আচ্ছন্ন ক্ষমতার মোহ আর
স্বর্গ অভিমুখী প্রতিভামগ্ন ধর্মের
কষাঘাতে রাত জাগে শিল্প-শ্রমিক!


প্রাচীন সামন্ত সৌধ, পুণ্যলোভী মাজার,
অবসন্ন কথা
স্বপ্নের অভিলাষী রোমাঞ্চে ভিজিয়ে
দাগী বাজিকর অপ্সরী সাজে
অভ্যস্ত কামান দাগাতে
নানান রঙিন উল্কি আঁকা
উদ্ভিন্ন তলপেট নিতম্ব প্রদেশ
অনেক আবেশে!


বস্তির জঞ্জাল ভেঙে ভেঙে
সলিল সমাধি খুঁজে
কুহকের গভীর হতাশে
বজ্রানল মেঘের প্রদেশে!


দূরত্ব মুগ্ধতায় মঙ্গলালোক
অদৃষ্টের নৈরাশ্যে সাধারণ
মানসিক যন্ত্রণায় গড়িয়ে গড়িয়ে চলে
সমস্ত জীবন!


মুক্তির গাথা উচ্চ-শির দাঁড়ানোর কথা
ভ্রম ভেঙে গেলে,
খাড়া চঞ্চু ঠোঁটে শলাকা ঠুকেছে
হৃদয় জুড়ে!
মাংসের খোপা খুলে কিছু মাংসাশী পাখি
কালের পাঁজর সংহারে
চিতার চোয়ালে নেকড়ে দাঁতের কামড়ে!


শুনে নাও,
জগতের এটাই সারাৎসার!
নতুনের আবাহনে বিভাদীপ্ত জগৎ সংসার!
আনন্দলোক যাত্রা হবে দুর্বার!


জেনে রেখো,
কাছেই নোঙর হবে
মুক্ত পাখির মতো মর্ত্যলোক পেলে!
-স্বপ্নময় স্বপন©