সহজ প্রলয়ে জীর্ণ জীবন
দ্বিতীয় প্রলয় বড়ই করুণ
বুঝি বুঝি করে
বোঝা না বোঝার ভারে
তিলে তিলে পলে পলে
অসংখ্য মৃত্যুতে
নিঃশব্দ শব্দময়
ট্রেনগুলি শুয়ে থাকে রৈখিক বাঁকে
শুয়ে শুয়ে  অসহায়!
কাকভোরে
এক-একটা বগি কিন্তু-কিন্তু করে
বেহায়া বিন্দাস!
জ্যোৎস্না রাত
ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী
তোমারই সাগর-নীল চোখ
অভিভূত!
দুটি ঠোঁট পুষ্পরাগমণি
দুরন্ত আভাময় দেবপুষ্পের
ঘুমন্ত হৃদয়
তোমার নিতম্ব
এক সুডৌল ভরা চাঁদ এবং
যথারীতি তোমার সাথে সঙ্গম
বৃক্ষের নির্যাস ভরা নিমগ্ন পাঠ
গিলেছে আমাকে,
নীল নীল তারাগুলি দূরে বসে
মৃত্যুহীন করবে
আমাদের বিজয়ী চুম্বন!
দূরে সুদূরে  
তোমার গভীর অধর
সূর্য আমার; রঙিন কৈশোর
নিবিড় আনন্দ,স্মৃতির পলক
ধুক পুকে, সূক্ষ্ম ঝলক
পথে-ঘাটে বাজারে প্লাবিত কাগজ
বন্যা-বানে স্থানে-সংস্থানে
ঘরে-বাইরে, কে? কি? সম্পর্ক?
সুসংবদ্ধ নথীভুক্ত
আমার কোন পাঠযোগ্য স্মৃতিচিহ্ন নেই!
দুপুরও দুঃখে গায়
সদ্যজাত ঘাসের সবুজে
নিঃসঙ্গ শূন্যতার মতো
আমি উৎস খুঁজে না পাই
শত দুর্দৈবের মধ্যে
ভেজা পাতা পাজামা ভিজিয়ে
মুষ্টি ভিক্ষা দিয়ে চলে
ভিখিরি শহরের পাতে পাতে
বাইরে আকাল
নেহারির ঝোলে
ঘামের অমোঘ নদী
সভ্যতা নাকাল
দুঃখের শিকড়
সূর্যকে টেনে তোলায়
ব্যতিব্যস্ত
উষ্ণ অধীর রশ্মিমালায়
মাঝ আকাশে
শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে
যদুবংশ ধ্বংসের আগে
ঘুমভাঙ্গা মানুষের স্রোতে।
-স্বপ্নময় স্বপন©