ভ্রষ্ট আদমের আর্তনাদ
শাশ্বতের নিষ্ফল সন্ধানে
সংকুচিত শিশিরসন্ধ্যায়।
মানুষ নিজের নিরাপত্তার জন্য
নিজেই নিয়ম তৈরি করে
নিজেই সে নিয়ম লঙ্ঘন করে
অন্যতর প্রয়োজনে।
অন্যে যখন নিয়ম ভাঙে যথারীতি
মানুষ তাকে শাস্তি দিতে কুণ্ঠাহীন
নিজ ক্ষেত্রে দেয় বৈধতা
তৈরি করে অন্য বিধি।
ধৈর্যের ধূসরিমা দলিত শেফালি শেজে
বৈদেহী বিচিত্রা ঘনীভূত
স্বর্গচ্যুত মর্ত্যে অবিশ্বাসী হৃদয়ে
অসহ্য অধুনা; ভবিষ্যৎ বন্ধ,অন্ধকার  
নারী মুখোশ কুঁজো, অসহায়, প্রণয়জর্জর
বিভাজিত সত্তার অঙ্কুরোদ্গমে
আমি সিগারেট ধরাই
সমগ্র বিশ্বকে এড়াতে;
হতভম্ব হই আর বিষণ্ন হই
অর্ধেক প্রত্যাখ্যানে
সঙ্কেতময় তর্জনীর নির্লিপ্ত কিনারে
ঘনায়মান অন্ধকারে
অন্ধের লাঠি ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দুর্মর অভ্যাসে; অবেলার অবসরে
জানি তুমি মরীচিকা; কখনোই হবে না আমার।
শপথ করে বলছি,
তোমার সাথে কথা বলি নৈঃশব্দ্যের ভাষায়
শব্দের চাতুরী জানা নেই আমার
পৃথিবী কিংবা তুমি কারো প্রতি
আমার অভিযোগ নেই
আমি দুর্বল
যন্ত্রণা পাই আর যন্ত্রণাভোগ করি
ভুলে যেতে পারি
এমন কোনো নৌকা নেই, নেই বন্দর
যখনই কোনো কিছু সমাপ্ত করি
তখনই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিশাল দোলন
অস্পষ্ট গোধুলি আলোয়
বিজ্ঞাপনের কঠোর বিষণ্নতা
এ রকম হওয়ার চেয়ে না হওয়া ঢের ভালো
ঘনায়মান অন্ধকারে অন্তহীন শিকার  
ভুল মানুষ, ভুল মানুষ, বৃষ্টিময় মেঘ
নির্মম মহাকাশ-নির্বাক নীল, রক্ত বরিষণ
নির্বিকার,নিরুত্তর,নিরর্থ আক্রোশে কাম্য স্থবির মরণ!
কেন জানতে চাইব?    
পৃথিবী উর্বর হবে না!
আমারও কবি হওয়ার
কোনই উচ্চাশা নেই
আমি হামাগুড়ি দিয়ে চলি
বন্দী পতঙ্গসদৃশ;আমার ব্যতিব্যস্ত হাত
সকল অবয়বের অভিযান
স্বপ্নস্বচ্ছ চিত্তের নির্বাণ
কবি থেকে কবিতা অধিক সত্য!
আমার স্বতন্ত্র শূন্যে শূন্যতার কারা
মর্মে মর্মে মজ্জায় মজ্জায়
রেখা ও অক্ষর শব্দের অনুষঙ্গে
কবিতার নির্মাণ!  
কর্মচ্যুত পৃথিবী ধুমার্ত আলোকে
অজ্ঞাত আশ্রয় চলিষ্ণু হৃদয়
কবিতা আমার একা থাকার উপায়!
অনন্ত রাত্রির ধ্বনি,আত্মার আর্দ্রতায় বিস্মৃত হয়েছি।
উপেক্ষা অপেক্ষায়,অপেক্ষা উপেক্ষায়
আসক্তিহীনভাবে
আমি এখনও বেঁচে রয়েছি......
-স্বপ্নময় স্বপন©