কেউ কেউ একা কবিতা
পিনপতন নিস্তধ্বতা
অনিশ্চিত জীবনে
প্রবেশ ও প্রস্থানে
প্রবেশের অধিকার
আমার হাতে ছিলোনা
প্রস্থানটা আছে!


রাতের নিঃশ্বাস হেঁটে যায়
রাতের পর রাত
এক আশ্চর্য পদশব্দ!
কার্নিশে, একা
মাঝরাতে
চাঁদ হাতে বসি
নিতান্তই অকারণ
ভেসে আসা শব্দে
টের পাই অস্তিত্ব
হেঁটে যাওয়া ভালোবেসে
শুধুই মৃণালিনী’র জন্যে...
বিশ্বাস করুন!


রূপালী মাছের মত
নদীর নীলে জলের রহস্যে
পৃথিবীর অভিন্ন হৃদয়
আমার নিজস্ব গোপন
চিরকাল নীল অনুভব!


বিষন্নলোকী মুমূর্ষু আলো
ধূসর বেলাভূমি
পৃথিবীর লুন্ঠিত সবুজ বাগানে
তোমার চোখের সূর্যাস্তে
হৃৎপিন্ডের ধ্বংস হন্তারকের হিংস্র দাহ
চারিদিকে যুডাস-বিভীষণ!
নিগড়ের ফাঁদে নিমজ্জিত শতাব্দী
তেজষ্ক্রিয় আক্রোশে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
কি ভীষণ!


ক্রান্তির শব্দে রক্ত ঝরে
কুন্তাকিন্তের মতন দাসত্বের শৃংখল
মানচিত্র ছিঁড়েখুঁড়ে অভিজাত ইতিহাস
জমা করে অবিরত রক্তপাত
কোথায় স্পর্শ রাখি
বলো!


প্রানের প্রান্তরে ভ্রূণে ভ্রূণে রূপালী হিংসা
জঠরে জঠরে শিহরিত স্তব্ধতা
করাতের স্রোত দুমুখো ঈগলের কোলাজ
পড়ন্ত শতাব্দীর যে ছায়া বিমূঢ় করে
সময়ের নিগূঢ় পরিবর্তনে
শ্রমে ঘামে ভিজে থাকা মাটির
অন্তরের অব্যক্ত বেদনাকে নিয়ে
আমি চলে যাচ্ছি


যেতে
যেতে
শেষাবধি দেখি
অকুণ্ঠ প্রকাশমান দীপ্তিমান চোখ
তবুও প্রেমের প্রাত্যহিক
ঘরবাড়ি তোলে...
- স্বপ্নময় স্বপন©