মানুষ তুমি কেন এতো লোভী!
কেন চাও পণ-কড়ি!
যদি হও অক্ষম-অপদার্থ
পড়োনা বিয়ের বন্ধন
পণপ্রথা বিষাদের সিঁড়ি।
তোমার কি আছে মূল্য
যে চাও বড়ো মূলধন
যদি হও তুমি ধনী
তবে কি নেবে কড়ি চেয়ে
কোন কিছু অবঙ্গা দেখিয়ে!
একটা মেয়ে!তারতো আছে জীবন
হয়েছে সে ছোট থেকে বড়ো
তবে পাবে না কেন মূল্য তোমার থেকে
তোমার কি আছে বেশিকিছু!
আছে চাকুরি আছে বড়লোকি প্রভাব
এর বেশি তো কিছু নয়
তবে মিথ্যে ধণ কেন মাগো
এটাই তো অমানুষের পরিচয়।
যদি হও তুমি গরীব
পেয়েছো কোন চাকুরি
বড়ো কিছু ঘুষ দিয়ে
তবে সে টাকা কি করবে উশুল
কোন অবলা বাবার কন্যাকে দিয়ে!
তুমি ছিলে গরীর ছিল আশা
চাকুরী করে করবে পরিবারের গরীব দুরাশা
ছিল যে স্বপ্ন এখন হয়েছে তা পূরণ
তবে এখন কেন চাও মিথ্যে ধন!
তুমি তো করোনা বিয়ে
কোনো মেয়েকে দিয়ে
যা কিছু সব তোমার টাকাকে নিয়ে!
কিন্তু এ-বাজারে তোমার যা মূল্য
একটা মেয়েরো ঠিক তাই
বিয়ে হবে দুটি মনের মিলনে
কোন টাকাকড়ির দ্বারা নয়!
তবে কেন তুমি বোঝোনা
পণপ্রথা অন্যায় পাপ
জেনেবুঝে পড়ছো সে ফাঁদে
কিছু পাওয়ার লোভে বিপরীতে ধেয়ে!
তবে মেয়েটা কি কেউ নয়!
ভেবে দেখো হে ধনী-গরীব সম্প্রদায়
তোমাদের পরিবারেও তো আছে কোন মেয়ে
যদি তাঁদের পরিণয় সেই টাকাকে নিয়ে হয়?


রচনাকাল :
শনিবার
১৪২৩ বঙ্গাব্দ, ২০১৬ সাল
বাংলা-২৪শে অগ্রহায়ণ, তাং-১০.১২.২০১৬
স্থান-ঘুনকিয়া(নিজ আবাস্থল)
সময়-সকাল ৮:৩৬ মিনিট