ভূগোলের বুক চিরে উঠে আসে ইতিহাস
সন্তর্পণে বেঁকে যায় কত নদী।
আলেক্জান্ডার ঘোড়ার পিঠে সাওয়ার হয়ে
পার হয়েছিলো ভারতবর্ষ, চীন
কত জনপদ কত পাহাড় সাগর বনানী।
ভারতের প্রান্তরে
চন্দ্র গুপ্ত মৌর্যের হাতে থেমে ছিলো তার জয়গান।


তারই সেনাপতি সেলুকাস
তারও একই পরিণতি, স্বীয় কন্যা মৌর্য গুপ্তের
সাথে বিবাহ সন্ধি করে বাঁচিয়েছিল মান।
আমাদের ট্যাকখালির বাঁকে
সে ইতিহাস আজো পড়ে পড়ে কাঁদে।


খতরনাক সময়ের পিঠে
সাওয়ার হয়েছে অদ্ভুত অলসতা।
তারা ঝিলমিল রাতের আকাশ
অথচ বনের বৃক্ষগুলো নির্লিপ্ত,
যেন সমর্পিত দাসত্বে র বরফ গলা
ঢেউ হীন নিস্তরঙ্গ নদী।


দুই দিকের টেকটনিক প্লেটের ঘায়ে
সেই যে কবে উঠে দাড়িয়েছিল হিমালয়...,
আমি তারেই বলি হিমাদ্রি।
আজও প্রৌঢ়ত্বের সীমানায়
ইঞ্চি ইঞ্চি তার বাড়ন্ত শরীর কাঞ্চন জঙ্ঘা
হিমালয় দুহিতা অপূর্ব অক্ষয়।


ও মানুষ কেন তুমি জন্ম জন্মান্তরের কাক হয়ে
ভাগাড়ের উচ্ছিষ্ট ঘাট?
সূর্যের ধার করা আলোয় চাঁদের হাসিতে রাঙাও
বৈচি ফুলের বন?
জেগে ওঠো, বিড়ালের গলায় বাধো কালের ঘন্টা,
বিজয়..., সেদিন তো বেশী দুরে নয়।।