সময় বহিয়া যায়, দিন যায় ...
সন্ধ্যা তারা উঁকি দেয় আকাশের গায়।
উদাস নয়নে মন মাঝি আনমনে
গুন টানে আকাশের পানে।
তাহার ঝোলানো বেণী
মনে দোলা দেয় সময় অসময়
বনের কোকিল দোলে ফাগুনের গানে।


একঝাক বাড়ি ফেরা হাঁসেদের
কোয়াক্ক কোয়ক্ক নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে,
সাই সাই উড়ে যায় ...।
উড়ে যায় সন্ধ্যার মেঘ মালা,
পিছনে পড়ে থাকে নিঃশব্দ বিরাণ মাঠ,
সন্ধ্যা তারা সাক্ষী থাকে
সাক্ষী থাকে হিজলের ঘাট।
আহা! একেকটি দিন সময়ের সাথে -
স্মৃতির মালা গাঁথে।


নিস্তরঙ্গ জলের ধাবমান স্রোত
ইছামতির বুক চিরে ছোটে টাউন শ্রীপুর
যেখানে দুরন্ত কৈশোর হাত ছানি দিয়ে ডাকে।
ও পাড়ে টাকি হাসনাবাদ চব্বিশ পরগণা, পশ্চিম বাংলা...
সন্ধ্যার অতনু কালে একে একে জ্বলে ওঠে
রাস্তার নিয়ন বাতি, যেন আড়া মোড়া ভেঙ্গে
জেগে ওঠে রাতের শহর।
নদীর চরায় শন ক্ষেতের আড়ে
দল বেধে শিয়ালেরা হুক্কা হুয়া হাঁকে।


নদীর জলে আলোর ছায়া পড়ে কত অপরূপ
আহা! কত স্মৃতি কত গান ...
ইছামতির জল কুলু কুলু রবে
নীরবে কথা কয়, কথা কয়
তাহার আলতা পরা পায়ে সোনালী নূপুর।
যেন আম জনতার পায়
লুটিয়ে পড়ে টাল মাটাল জীবন সমুদ্দুর।
নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে
কত স্মৃতি জাগানিয়া ক্ষণ।


দুরন্ত কিশোর বেলা, বেত ফল
ডুমুরের গন্ধ ভরা ডুমুরের বন,
বোশেখের ভোরে ঝোপ ঝাড়ে
অতৃপ্ত ডাহুকির ডাক, চালতার মগডাল।
ঈগলের বাসা, আর্তস্বরে গাঙ চিল দের ডাকা ডাকি
কাদা খোঁচা, সাদা বক, পুচ্ছ নাচানো চ্যাগা ...,
সকলেই জেগে ওঠে সকাল সকাল।
নদী পাড়ে বালু চরে কর্ম ব্যস্ত দিন আহা!
একেকটি দিন...
বিস্মৃতির স্মৃতি, অমোচনীয় অমলিন।।