কাঠখোট্টা রৌদ্রের গায়ে
আলতো বাতাসের ছোঁয়া,
বিস্মৃতির নীলখামে সন্ধ্যা নামে
কামুক ঠোটেরা গভীর রাতের অপেক্ষায় থাকে
কখন আসবে নাগর...


রাত গভীর হয়, পাঁচতারা হোটেলের বলরুমে
জ্বলে ওঠে নীল সফেদ আর লালবাতি,
ছলকে ওঠে পানীয়ের বোতল
ঝলকে রক্তে কাঁপন জাগে.....


আরব্য রজনী নামে বলরুমে
যেনো শত বছরের কামসুধা
তৃষ্ণা মেটায় অবদমিত যৌবন,
গাভীর মেলায় যেন তেড়েফুড়ে আসে
উত্তেজিত অভুক্ত স্পেনের খ্যাপা ষাঁড়ের দঙ্গল...।


ডিজে আর সখীরা আসে দলে দলে
ড্রামের তালে তালে নাচে দুলে দুলে
কামপিয়াসী ডিজে নারী
দুলে দুলে ওঠে উর্বশির শরীর,
যেন নেশার সমুদ্রে কামনার অবগাহন….......


দুচোখের মায়াবী নেশায়
বাহুলগ্না কত প্রেমের সওদাগর,
ওরে সম্পানওয়ালা করে কানে কানে,
এর পর প্রেমের সাম্পানে হারিয়ে যায়
কামোন্মাদনার অতলান্ত সুখের গভীরে
কে কার হাত ধরে কে জানে .…


এইসব দুর্বার লীলাসুখে পোড়ে কত সংসার
কতবুক খাঁ খাঁ, গুমরে গুমরে ওঠে কত হাহাকার,
এভাবেই সারারাত অদম্য অভিসার
সমাজের ক্ষত চিহ্ন আজ মহামারি ক্যান্সার.....
নেশার আফিমে মুল্যবোধেরা ক্রমশ হারায় রাতের গভীরে .…।