আজ আকাশের রংএ আবীর মেখে
সজনের ডালে পুচ্ছ নাচায় মাছরাঙ্গা।
গভীর আবেশে কাছাকাছি আসে
ছন্নছাড়া দুটি মেঘ।


কবিতার ঢঙ্গে কত কথা কয়
স্বর্পগন্ধা একাকী বিকেল...।
চাঁদনি রাতে যেমন ফসলের ক্ষেত হাসে
ফণী মনসা র কাঁটা গুলো উড়ে যেতে চায়
তারা ভরা আকাশের কাছে তার চাওয়ার কি আছে?
তেমন ঘাটে বাধা টাবুরে নৌকার গায়
ছলাৎ ছলাৎ ঘাই মারে জ্যোৎস্না আবেগ।


জীবনের জয়গান স্তিমিত নিরেট পাহাড়
তারই খাঁজে খাঁজে খুঁজে ফিরি উত্থান
আর পতনের গান।
আলো আঁধারির মাঝে নিশি রাতে
চন্দ্রিমা উদ্যানে চলে জীবনের কত আদিম খেলা
কত গৃহে চলে অবিশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাসের উপাখ্যান।


কালের গর্ভে কার যেন অচেনা আর্তনাদ শুনি
সময় কোটর থেকে বেরিয়ে যায় যাচ্ছে...
যাবে কতদূর?


দোয়েলের শীষ বাতাসের সুর হয়ে বাজে
কমফোর্ট জোনের ভেতর থেকে
বের হতে চায়না আয়েশি শরীর।
সময়ের ভারে লাউডগা র মত ন্যুয়ে পড়ে মাথা
ভেজা সার্টের আস্তিন বেয়ে নেমে যায় পরি শ্রমের সিঞ্চিত জল...
অথচ ভাদ্দুরে কুত্তার মত সঙ্গমের গন্ধ খোঁজে
পীড়িত সন্ধ্যার পাতি কাকিও গাঁজার আসর।


আমি কি দায় বদ্ধ ছিলাম পূর্ব পুরুষের কাছে?
আমার উত্তর প্রজন্ম কি আমার দায় নেবে?
আমি কি ইতিহাসের কাছে দায়ী হব
মীর জাফরের মত?


তোমাদের দুঃখে শেয়াল কুকুর ও কাঁদবে হে দুর্যোধন
কাঁদবে ধরণীর নষ্ট সময়।
তোমাদের নষ্ট অতীত আটকে আছে
অবক্ষয়ে র ঘুন পোকার কাছে।
তোমাদের আজকার উল্লম্ফন
কাল শানাই হয়ে বাজলে
ক্ষুব্ধ কাকের দল বিজয়োল্লাসে
পড়বে ফেটে, দেবে গগনবিদারি গালাগালি
দেবে হাত তালি....।


আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব আর আয়েশ করে চায়ের কাপে চুমুক দেব...।