তারিখ ঃ – ০৬-০২-২০২১ ইং , সময় – সকাল -৮-৫০ মিনিট ।
কষ্ট দিয়ে সুখ নাহি মেলে ! !
আচার-আচরণে কাউকে দিও না কষ্ট
কারো মন ভেঙে করো না নষ্ট ।
আমরা কী দিতে পারি সুখ ?
তা হলে কেন দেব মানুষকে দুখ ।
যদি না করতে পারি পরের হিতার্থ
তবে কেন করবো অনিষ্ট !
পরের কল্যাণে খুশি হন সৃষ্টিকর্তা
তিনিই তো সকল জীবের ত্রাণ কর্তা ।
তা হলে আমরা কেন করবো ক্ষতি ?
যদি না পারি করতে সদ্গতি ।
মানুষ কে করলে হিংসা
তার থেকে পাবো প্রতি-হিংসা ।
গাল-মন্দ , কটু আচার , ব্যবহারে অশ্লীল ভাষা
এতে পাওয়া যায় না শান্তির প্রত্যাশা ।
দেয়ালে কথা বললে সেটা প্রতি ধ্বনি তে ভাসে
পরের অনিষ্ট করলে নিজের উপর ফিরে আসে ।
হাজার বছরের প্রবাদ আছে চলমান
মন ভাঙা আর মসজিদ-মন্দির ভাঙা সমান ।
স্বচ্ছ পানিতে দেখা যায় চেহারার ছায়া
পরোপকারে সুখ-তৃপ্তিতে ভরে হিয়া ।
উপরে ঢিল ছুড়লে নিচে আসে ফিরে
সমাজের অশান্তি তে নিজে ও মরে তার ভিড়ে ।
সামাজিক অবক্ষয় রেহাই দেয় না কাউকে
পঁচা দুর্গন্ধ আসে যেমন সবার নাকে ।
ভালো কাজের সুফল পেয়ে থাকে সবাই
কান্তার সৌরভ-সুগন্ধ যেমন অনায়াসে ছড়ায় ।
ধুম পানের ধোঁয়া আশপাশে এমনিতেই লাগে
কু-কাজের প্রভাব সমাজের অন্তরে বাজে ।
মাদকের বিস্তার ও প্রসার , সমাজের ক্যানসার
সেটা তরুণ-যুবকের জীবনাবসানে ধ্বংসের কালচার !
মানুষের জীবনে আনলে সর্বনাশ
অন্ধকার আত্মার মিটে না কভু পিয়াস ।
কারো শান্তি ও মান মর্যাদায় দিলে আঘাত
নিজ জীবন চলায় সুখের হয় ব্যাঘাত ।
অকাজ , অনিয়ম , অনৈতিকের নিত্য চলে কালচার
সুশোভন সমাজ জীবনের ঘটে পাম্পচার ।
বিপিনে দেখা মিলে সহস্র ফুলের সৌরভ
দেশ-জাতির ললাটে প্রস্ফুটিত হয় শুচি কাজের গৌরব ।
কোন ভাবেই মানুষ কে মর্মপীড়ায় জ্বালাতে নাই
সে অন্তর্জ্বালা আল্লাহ তায়ালা নিজেই পায় ।
কারো দিলের ব্যথা সে না করলে ক্ষমা
মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট যন্ত্রণা
প্রভু করবে না ঘুণাক্ষরে ও ক্লেশ দাতা কে ক্ষমা
শেষ বিচারের দিনের জন্য তা রবে জমা ।
শরীফ নবাব হোসেন ।