২৭/১১/২০২০ ইং , সময় –রাত – ৭-০০টা ।
শীতের সন্ধ্যা । ।
গিয়েছিলাম ভ্রমনে গ্রামে
গাড়ির জানালা দিয়ে যায় দেখা
অপরূপে রূপে শোভিত রাজকন্যা
আলোক উজ্জ্বল পূর্ণ রাকেশ ,
তার দীপ্তি তে ঝলমলে মন্দাকিনী র জল ,
অভ্র তে ভাঙা ভাঙা শুভ্র মেঘ
স্বচ্ছতায় ভরা নীল নীলিমার রেশ ।
রাস্তার পাশে অনতিদূরে
বিলে হেমন্তের কাটা ধান বিছানো
একের পর এক স্তর করে সাজানো
কিছু ধান গাছ
ধানের সোনালী ছড়া মাথায় নিয়ে
আছে দাঁড়িয়ে রাঙা আভা ছড়িয়ে
তাজ্জব সে আলেখ্য আছি অপলক তাকিয়ে ।
যেতে যেতে সরণি র দু’পাশে
হেরি পুকুর , ডোবা , ঝোপঝাড় , গাছপালা ,
একের পর এক তারা সৃষ্টির সৌন্দর্য বিলিয়েছে ,
সন্ধ্যার পর কুয়াশার চাদর মেলেছে
যেন বিশদ পাহাড়ের গা বেয়ে
আমরা এগোচ্ছি গাঁয়ের পসরার বাজার পেরিয়ে
শীতের আমেজে কল্পনার কাব্য বিলাসে ।
কুয়াশায় ঘাস , পাতা , লতাগুল্ম ভেজা
জ্যোছনা রাতে মেটো পথে বিহারে বেজায় মজা
সন্ধ্যায় বিহঙ্গের নানা ডাকাডাকি
আর নীড়ে ফিরতে ব্যস্ত তারা
প্রকৃতির সবকিছু সেখানে নিবিড় স্নিগ্ধতায়
মোহনীয় তার আবেশে জড়ানো তরু লতায়
এসব হৃদয়ে গেঁথে থাকা পল্লীর মমতা ।
গাঁয়ের অকৃত্রিম বিশুদ্ধ পরিবেশ
এর সহস্র প্রকৃত মনোমুগ্ধকর উপাদান
খাল , বিল , নদী , সবুজ প্রান্তর
সে অন্তর ছোঁয়া বাঁশির সুর
আর জারি , সারি , মরমী , পল্লী গীতি
ফুল , ফল , পল্লব-শাখী ও ভ্রমরের গুঞ্জন
মানুষের অগণ্য আত্মার আত্মীয়ের বন্ধন ।।
শরীফ নবাব হোসেন ।