ঊঁচু ভবনে রংগিন কাঁচের জানালা
তার ওপর মেঘেরা ছায়া বিছায়।
নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখে বার বার
হেলে দুলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা ভংগীতে।
মেঘেদের মধ্যে ঠেলাঠেলি পড়ে
কার আগে কে নিজেকে দেখবে।
কারও কারও ছড়ানো পুচ্ছপাখনা
ঢেকে দেয় হালকা চঞ্চল-চঞ্চলাদের।
মেঘেদের চপলতা ছুঁয়ে দেয় দক্ষিণের বাতাসকে।
চঞ্চলিত হয় তার চলন -
মেঘেদের সারা দেহে সঞ্চারিত হয় সে চলন।
রংগিন কাঁচের প্রলোভন ছেড়ে
মেঘেরা ডানা মেলে দক্ষিণ পূর্ব কোণে।
জলের ছোঁয়া লাগে মেঘেদের দেহে
হালকা রঙ গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয়।
মেঘেরা পারেনা জলের ভার ধরে রাখতে।
অঝোর ধারায় ঝরে পড়ে
উঁচু নীচু ছোট বড় ভবনগুলো ভিজিয়ে।
ভবনগুলোর কি ভাবনা হয়?
ওদের কি ছুটতে ইচ্ছে করে মেঘেদের  সাথে?
ওদের কি নাচতে মন চায় দক্ষিণা বাতাসে?
মেঘেদের তা নিয়ে নেই কোন ভাবনা
ওরা ছুটে চলে নবীন জলের টানে
ঈশান থেকে নৈঋৃত
বায়ু থেকে অগ্নি কোণে।
আমার ইচ্ছেগুলো মেঘেদের মতই
ছুটে চলে আটদিক, তা ছাড়িয়ে ঊর্ধ্ব থেকে অধোপানে।
আমি দাঁড়িয়ে ভবনের উলটোদিক
দেখি চেয়ে চেয়ে রংগিন কাঁচে লাল আকাশের প্রতিবিম্ব।


২০.০৭.২০১৭