দু'পাশে পড়ে আছে লাশদের সারি
সারি সারি লাশ আর লাশ।
একপাশে একদল অনর্গল মরছে আলোক তৃষায়
অন্যপাশে রক্তচোষার দল মরছে প্রতি আক্রমণে।
দু'পাশেই মৃত্যু মিছিলের শেষ নেই -
জানা নেই কখন থামবে এই মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা।
রক্তচোষাদের জন্য দরদটা তেমন উথলে ওঠে না
যেমন বুক ভেঙে যায় আলোক যাত্রীদের জন্য।
অন্ধকারে একটু আলোর জন্য কতপ্রাণ অকাতরে চলে যায়
রক্তচোষারা কম কিসে - একফোটা রক্তের লালসায়।
ভোরের আলো ফোটে ছোট খালের ওপাশের তাল গাছের মাথায়,
গ্রামের বঁধুটি উঠোন নিকায়,
গরুটা হাই তুলে মুখ ডোবায় খড়ের ভাড়ায় -
কিছুপর ভেসে আসে ধুপের মৃদু গন্ধ, প্রভাত অঞ্জলি।
মৃদংগ গম্ভীরায় মানবসন্তানদের আহবান করে স্রষ্টার বন্দনালয়।
লাশেদের চেনা যায় স্নিগ্ধ আলোকছটায়
একপাশে পড়ে আছে ধুনিপোকার দল,
কাল সারারাত যারা আলোর পথে ছুটে এসেছিল কাচের পর্দায়।
অন্যপাশে পড়ে আছে মশক বাহিনী
রাতের আড্ডাবাজদের হাতে আকাতরে মরেছে তারা।
যদিও প্রাণঘাতী হবার চেষ্টার কমতি ছিলনা তাদের, কি প্রবীণ কি নবীনের।
ঘুম ভাঙা চোখে দেখি শুধু লাশেদের সারি
চায়ের পেয়ালায় চুমুক দেই
মনে বাজে দৈত্বানুভূতি
একদিকে তৃপ্তির, অন্য দিকে বেদনার।
দু'পাশের লাশেরা কিন্তু সমান মানের
দুদলই চেয়েছিল নিজেদের জাতি গোষ্ঠীকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাকে উজ্জীবিত রাখতে।
সময়ের দোষে একদল অনুপ্রেরণার
অন্যদল হয়ে উঠেছে জিঘাংসার।


১১ মার্চ ২০১৭, ০০.৫৫ টা।