ম্রিয়মান নিস্তব্ধতা ঘিরে রয়েছে পুরো নগরী জুড়ে
আকাশে ক্ষয়িষ্ণু একফালি চাঁদের ন্যুব্জ জ্যোৎস্না
তার আড়াল থেকে অমোঘভাবে ঘোষিত হয়
এক আগমনী সন্দেশ!
অথৈ জোয়ারের প্লাবনে ধ্বনিত কৃষ্ণপক্ষের সমাগম।
শুধু একজন মানুষ অবিচল ভাবে পথ চলে-
আঁধারের আলোড়নে উড়ে যায় কোন নিশাচর পাখি
রাস্তার দু’ধারে নির্জনতার কোলাহলে
দিশেহারা হয় একলা ক্লান্ত পথিক।
আবছা আলোয় দেখা যায় শ্মশানের কিয়দংশ
শবযাত্রীরা কেউ নেই!
শুধু পড়ে আছে সদ্য পোড়ানো মড়ার অস্থিভস্ম।
পীচের প্রতিফলন দেখে পথিক পুঞ্জীভূত মেঘের অবয়বে-
কান পেতে শুনতে চায়-
কেউ ডাকেনি; পুরোটাই ভ্রম।
আবার শুরু হয় নৈঃশব্দ্যের তান্ডব নগ্ননৃত্য।
মনের ভেতর কে যেন গায় করুণ স্বরে রাগ আশাবরী!
তবুও হয় না অবসান-
অমর্ত্য পণে জাগরূক থাকে নবোঢ়ার সাজে বিভাবরী।