রাত জাগা কৃতদাস, মুক্ত অনলে শুকায় ভেজা ত্বক,
ক্ষুৎপিপাসা নিলামে তুলে শূন্যে ভাসা যাযাবর ওই চাঁদ-
তৃষিত কন্ঠে কাতর সুরে বলে ওঠে ‘মহারাজ’’!
আমার সম্বিত ফেরে গাছের পত্রপল্লবের মর্মরে
দিবানিশি উড়ন্ত মেঘের ব্যস্ততম নির্ঘন্টের অবসরে-
জয়ধ্বনির প্রতিধ্বনিতে নির্লোভ ব্যাপ্তিতে
সত্যি আমি মুক্ত সত্যি হলাম আজ!
পর্বতের ভাঁজে ভাঁজে সাজানো স্তরে বাতাসের গতি পরিবর্তনে
আবার কখনও গাংচিলের ডানায় ভর করে মুক্তশূন্যে
এক বুক শ্বাস নিয়ে উড়ে যেতে যেতে মনে হয়,
এইতো আমার মুক্তি!
অবেলার সঞ্চিত পুঁজিটা ছাই হয়ে গেছে
তাই দিয়ে তিলক এঁকেছি শ্রীহীন ভাগ্যের ললাটে!
ইশ্বরের ডাক শোনার অপেক্ষায় থেকে থেকে আমি বধীর!
ভাষার শেষ অব্যয়টাও বিদায় নিয়েছে লবণ পানিতে।
ভাসমান আমি মুক্তির পতাকা আকাশে উড়িয়ে-
নিচ্ছি অনুচ্চ মুক্তির শ্বাসরুদ্ধকর হুতাশনের নিবিড় উষ্ণতা।