আজো মনে পড়ে বেশিদিন নয় - বছরখানেক আগে
মাঘের সকালে কুয়াশার বুক চিরে
দাঁড়িয়ে ছিলাম শুভ্র বাংলার আলপথে - তুমি আর আমি
আমার শুষ্ক মুখে নয় ; আদ্র ঘাসের দিকে নত মুখে তাকিয়ে বলেছিলে --- দেখে নিও,
এই নীলাঞ্জনা এবার 'এ-প্লাস' পেয়ে
স্বজনদের কৌতুহলী মুখ রঞ্জিত করবে ।
বিমুগ্ধ খেঁজুরগাছটা মাথা হেলিয়ে সম্মতি দিল
উত্তরীয় হিমেল বাতাস শো শো শব্দে জানালো ---
হ্যাঁ হ্যাঁ তুমিই পারবে ; আমি নিঃসন্দিগ্ধ ।
তোমার লাল করুণ ঠোঁটের আর সূর্যের কোমল হাঁসি মিলে
বেশ মানিয়েছিল সেদিন ; এক অদ্ভুদ শিহরণে
আমার শিহরিত হলো দেহ ।
না শালিক, না ধানী ক্ষেত - কেউ জানেনি,
কেউ বুঝেনি অন্তরের সেই নিরব অনুভূতিটুকু ।
পরের বৈশাখী ক্লান্ত দুপুরে, তোমার পায়ের বিরহী নূপুরে
চোখ উঁচিয়ে ঈশারায় আমায় উঠল ডেকে ;
তাকাতেই অবাক ! সেই নীলাঞ্জনার নীল চোখ -
যেথায় নীল নদ বহমান ছিল : জ্বলছে আজ,
যেন লাল কোনো আগ্নেয় দাবানলের খাঁজ ।
জিহ্বা আজ ভূখন্ডে নেতিয়ে পড়ছে ; আর চুল !!??
যেটা বৈশাখী মেঘের ন্যায় কালো,
চাদরের মত মুখ ঢেকে নিয়ে ঝুলছে ।
এ যেন মৃত কোনো প্রেতাত্না ।
আমায় রেখে - অকৃতকার্যের দু'খে - ছেড়ে দিয়েছ ভব
আজকে আমার রেজাল্ট দেবে - কাহার সাথে কব ??