অতিথি বাতাস আমার বাড়ি হয়ে তোমার জানালায় বয়ে যায়
এই বিপুল যাত্রাপালায় শীতলতা ছুঁয়ে যায় আমায়
পোড়া দোয়েলের ঘুম ভাঙে যৌনপ্রেমের টানে
পোকামাকড়েরা দলে দলে ছুটে চলে রঙিন ক্ষণে।
রুপবিস্তারে আশা জাগানিয়া সব পাখিরা গান গায়
মেঘেদের নিষ্পাপ ছায়া ঢলে পড়ে আমার আঙিনায়।
এই যে, ঝিনুকজীবন অশান্ত বর্ষামন্দিরে
ঋতুবদলের স্মারকপত্র পাঠ করে যায়-
নাম না জানা বয়সীপথে পথে সম্পর্কের পরম্পরায়,
এইসব সমীকরণ মিলে যায় ভালোবাসায়।
বালিকা তোমার খোলা পিঠে প্রেম রসায়নে চুম্বন এঁকে যাই
তোমার চুলের মাতোয়ারা ঘ্রাণের কথা
সবুজ কচিপাতায় লিখে রাখি তাই
আর দূরযাত্রী পাখিদের সাক্ষী করে যাই।
শরীরে শরীর রেখে তানপুরা সাজাই
শাড়ি, ওড়নার আঁচলে গৃহস্থালী উপকথা পড়ে যাই
আর পাড়াগাঁয়ে পুরাজনমের পাথর দুইহাতে সরাই।
অনেক প্রতিশ্রুতি, সেই কি আবার
ঘামে ভেজা স্তনে ফিরে ফিরে আসার?
তীরভাঙা মেঘরাতে নামলে আধার
বিমূর্ত সব ক্ষতচিহ্ন মুছে দেবো তোমার?
জলকুমারী, কেন এই শতমুখী কাঁটা কংক্রিট পথে
কেন এই দিকভ্রান্তি মহামিলনে হারাতে?
ভিনদেশি বুবুদের উপমায় লুফে নেই আয়ুকাল
খেলা শেষে বৈধ উত্তরাধিকারসূত্র রোপণ করি
এই রহস্যের নামই অন্তহীনযাত্রাকাল।