আজ রজনী হয়নি আমার হয়নি এখনো কারো,
শুকনো ক্লেশে প্রহর বুনে দীর্ঘ হচ্ছে আরো।
সন্ধ্যা থেকে পর হয়েছে চাঁদ ঢেকেছে মেঘে,
দৃষ্টি আড়াল করে আমার সঙ্গে আছে জেগে।


যখন শুধাই কি অভিমান দেয় না যে উত্তর,
অজানা কোন রাগের দাগে ভরায় আমার ঘর।
ঘরের দেয়াল কালচে খেদে দিচ্ছে আমায় বোধ,
অভিমানী রাতটা যে নেয় সাত জনমের শোধ।


রোজনামচার ক্লান্তি শেষে ক্ষপাই ছিলো আপন,
একলা ঘরের বিষাদ শুষে চলতো রাত্রিযাপন।
আজকে হঠাত রাতটা আমায় করছে না যে আদর,
একলা হিমে খুঁজছি গায়ে রাত তসরের চাদর।


আমার পাশে ঘুমাও তুমি উনিশ বছর ধরে,
জানছো না তো এই ঘরে কোন সতীন বসত করে।
উনিশ বছর সেই সতীনের সঙ্গে আমার যোগ,
গোপন ভাবের আদান প্রদান তার আর আমার রোগ।


সেই রোগে সুখ সেই রোগে দুখ রোগের সাথেই ঘর,
কেউ জানে না কোন বিলাসে আমরা পরস্পর।
আজকে হঠাত কি হলো তার পাই না যে তার ছোঁয়া,
হাজার রাতের যুগল অসুখ কোথায় গেলো খোয়া!


আজ রজনী হয়নি তোমার তুমিও বিভোর ঘুমে,
এমন হাজার প্রহর জুড়েই রাত্রি আমায় চুমে।
সেই চুমু সুখ অসুখ যোগে কাব্য আঁকে মনে,
মন-কবি তাই ছন্দ বোনে দিনমণি দিন ক্ষণে।


যেই কবিকে সমাজ চেনে সেই কবিটাই তোমার,
মন-কবিটার আসর রাতে মন জুড়ে তার আঁধার।
সেই আঁধারে মন-কবি আজ খুঁজছে চেনা রাত,
অস্হির মন চপল নয়ন ক্লান্ত শরীর হাত।


তবুও রাত দেয় না ধরা নীরব নিথর আজ,
একলা মনে চেষ্টা গাঁথে ভাবনা কারুকাজ।
সেই কবিতায় নেই যে কোনো ছন্দ ভাবের মিল,
মন-কবি আজ কালোর মাঝে একলা দুখে নীল।


জানবে না কেউ আজ রজনী কোন রাগে যে পর,
কোন পাপে আজ হঠাত হলো নিঃস্ব মনের ঘর।
সকাল থেকে সন্ধ্যা তোমার, আমার ছিলো এই,
জানলো না কেউ হলাম কেন নিঃস্ব, এভাবেই।