এক জীবনের চতুষ্কোণে
তোমার আমার বাস,
তিন কোণে তার রূদ্ধ বিষাদ
একটাতে নিশ্বাস।


নিশ্বাস জুড়ে বিশ্বাসী ঢেউ
আস্হা স্রোতের টান,
ত্রিকোণ বিষাদ নিত্য ডাকে
অনিশ্চিতের বান।


ঢেউয়ের তলে কাষ্ঠ হাসে
অন্তঃস্রোতের চাপ,
তিন বিষাদের যজ্ঞে মাতাল
শীতল জলের তাপ।


পূব বিষাদের অঙ্গে মাখা
দুই অতীতের রঙ,
পশ্চিমা ক্লেশ ভাবীর দোসর
আজকে ভাবায় সঙ।


ভূত ও ভাবীর যুগল পীড়ায়
চলতি দুখের কাল,
ত্রিতয়ী এই কালের বোঝায়
শ্বসন বেসামাল।


বেপরোয়া অতীত বিষাদ
রোজ প্রাতে দেয় খেদ,
সায়াহ্নে সব মিটবে ভেবে
চুষতে থাকি জেদ।


জেদের ভারে কুঁচিত ব্যথায়
পার করি দিন রাত,
দুঃখ রাখি হাতের মুঠোয়
সুখকে হারায় হাত।


দুঃখ পুষে পীড়া শুষে
আসমানী আজ মন,
জীবন ঢেউয়ে ভেসে ডুবেই
শ্বাসের আকিন্চন।


কখন কবে ত্রিকোণ বিষাদ
করলো মনে ভর,
তুমি আমি আপন হয়েও
হচ্ছি নিজের পর।


এক জীবনের চতুষ্কোণে
তুমি আমি এই,
এক কোণে শ্বাস সুখের আভাস
সুখের দেখা নেই।