বুনিয়াছি যেই কাব্যমাল্যে প্রিয় অনুরাগ ফুল,
নিশিকামনায় বাঁধিয়াছি সেথা সোহাগী প্রসূন পুল।
বিমূর্ত সুখে অভিলাষী মন প্রাতে গোনে অবসাদ,
এক রজনীতে ভরিবে না এই কবিতা লেখার সাধ।


এক রজনীতে তোমারে চাহিয়া ভাবনা লেখনী যতো,
রতি বিলাসের ক্লান্তি পূজায় অভিমান রচে শত।
নিবিড় রমণে শরীর তৃপ্ত তবু যেন উচাটন,
তোমার লাগিয়া অযুত কবিতা ভরাইলো না কেন মন ?


তোমারে ভাবিয়া কাব্যমাল্যে শত অমিলের বাস,
ভাবনা ছন্দ উপমা বিবাদে কাব্যিক উপহাস।
সেই বিদ্রূপে কাঁদিয়া হাসিয়া বিমূঢ় চেতনা মোর,
মর্তের সুখে পার্থিব দুখে কাটিলো না সেই ঘোর।


মর্তের প্রাণে জায়া সাথী তুমি নারী নটী অম্বিকা,
সামাজিক বিধি বাঁধনে কথন পরিণয়ে মরীচিকা।
প্রতীতির তুমি প্রেমিকা শুধুই শাশ্বত প্রেমে স্হির,
তোমার সহিত ভাবনাতে তাই কথামালাদের ভিড়।


তোমার সহিত এমন রজনী কবি হৃদয়ের নতি,
শয়নে তোমারে দেখিয়া মিটাই জনমের অভিরতি।
অতন্দ্র আমি অপূর্ণ সুখে পার করি নিশা ক্ষণ,
এমন প্রহরে খেলিয়া বেড়ায় অবিরত কবি মন।